ঘটনাটি পাকিস্তানের। দেশটির সিন্ধ প্রদেশের থারুশাহ এলাকার বাসিন্দার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, অর্থের অভাবে নিজের সন্তানকে জীবন্ত অবস্থায় মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন তিনি। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে দেশটিতে।
এরই মধ্যে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের কাছে তিনি নিজেই ঘটনার স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। বলেছেন, ১৫ দিনের শিশুকন্যার চিকিৎসার খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, অভিযুক্ত পুলিশকে জানিয়েছেন- সন্তানকে প্রথমে তিনি জীবন্ত অবস্থাতেই একটি বস্তায় ভরেছিলেন। তারপর মাটি খুঁড়ে সেই বস্তা পুঁতে দেন।
পুলিশকে অভিযুক্ত আরও জানিয়েছেন, অর্থের অভাবে তার নিজেরই পেট চলে না। সন্তানকে কোনও রকমে খাওয়ানোর বন্দোবস্ত করেছিলেন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, ওই শিশুর চিকিৎসা প্রয়োজন। যাতে বেশ খানিকটা খরচ করতে হবে। এরপরই শিশুটিকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন কর্তৃপক্ষ। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ওই শিশুকন্যার কবর খুঁড়ে তথ্য সংগ্রহ করবে পুলিশ। ফরেন্সিক পরীক্ষা এবং ময়নাতদন্তও করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। সেক্ষেত্রে বিষয়টি তাদের কাছেও আরও স্পষ্ট হবে।