ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হামলা অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোরও পরিকল্পনা করছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর (পেন্টাগন) জানিয়েছে, হুথিদের সামরিক সক্ষমতা দুর্বল করা এবং লোহিত সাগরের বাণিজ্য পথ সুরক্ষিত রাখাই এই অভিযানের মূল লক্ষ্য।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে, মার্কিন বাহিনী হুথি অবকাঠামো ও নেতৃত্বের ওপর প্রায় ৫০টি হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় ড্রোন লঞ্চ স্থাপনা, অস্ত্রভাণ্ডার এবং শীর্ষ নেতাদের বাড়ি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, এই হামলা হুথিদের জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হয়েছে।
বড় কৌশলগত পরিবর্তন
ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন কৌশল আগের চেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক। বাইডেন প্রশাসনের সময় মূলত সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হলেও, এখন শীর্ষ হুথি নেতাদের বাড়িও টার্গেট করা হচ্ছে। পাশাপাশি, হুথিদের আবারও ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যা ইয়েমেনের অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতা আরও বাড়িয়ে দেবে।
সেনাবাহিনীর হাতে বেশি ক্ষমতা
এবারের অভিযানে সামরিক কমান্ডারদের আরও বেশি স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। বাইডেন প্রশাসনের সময় হামলার অনুমতি পেতে উচ্চপর্যায়ের অনুমোদন লাগত, যা প্রতিক্রিয়ার সময় বাড়িয়ে দিত। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন সরাসরি সামরিক কমান্ডারদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে, যাতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানো যায়।
ইরানকে দায়ী করছে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে হুথিদের মূল পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দেখছে। মার্কিন সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরান অস্ত্র, গোয়েন্দা তথ্য এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে হুথিদের শক্তিশালী করছে। এ কারণে ওয়াশিংটনে আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের মধ্যে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি এবং মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘমেয়াদী হামলা চালালে অস্ত্র মজুতে প্রভাব পড়তে পারে। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এই অভিযানের মাধ্যমে হুথিদের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করাই মূল লক্ষ্য, যা চলমান থাকবে।