ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িত ছিল না বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। তবে মার্কিন প্রশাসন বলছে, সিনওয়ারের মৃত্যুতে গাজায় কাঙিক্ষত যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা সহজ হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ডেইলি সাবাহ।
খবরে বলা হয়, মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি এয়ার ফোর্স মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি ছিল পুরোপুরি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযান। মার্কিন বাহিনী এখানে সরাসরি জড়িত ছিল না।’
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আভিচে আদ্রি গাজা উপত্যকায় সিনওয়ারকে হত্যার ঘোষণা দেওয়ার পর পেন্টাগনের কাছ থেকে এ মন্তব্য এলো।
রাইডার বলেন, ‘আপনি জানেন, আমাদের অল্প সংখ্যক বিশেষ অপারেশন বাহিনী রয়েছে। যারা জিম্মি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার বিষয়ে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করছে। এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিবৃতিও আছে। গাজায় লুকিয়ে থাকা সিনওয়ার এবং অন্যান্য হামাস নেতাদের খুঁজে বের করতে এবং ট্র্যাক করতে ইসরাইলের সঙ্গে আমরা কাজ করছি। যারা গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে অনেক আমেরিকান নাগরিককে জিম্মি করে রেখেছে’।
বুধবার (১ অক্টোবর) হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত হন। গাজার রাফায় প্রাণ হারান তিনি, তবে ইসরায়েলি সেনারা জানত না তারা সিনওয়ারকে হত্যা করেছে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) তার মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছেন।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, বুধবার গাজার রাফার একটি ভবনে হামাসের কয়েকজন যোদ্ধাকে প্রবেশ করতে দেখে ইসরায়েলি সেনারা। এরপর সেখানে হামলা চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। হামলার পর সেনারা সেখানে যাওয়ার পর সিনওয়ারের মতো দেখতে এক যোদ্ধাসহ মোট তিনজনের মরদেহ পায় তারা। এরপর বৃহস্পতিবার নিশ্চিত হওয়া গেছে ওই মরদেহটি সিনওয়ারেরই ছিল।
হামাসের দুটি সূত্র সৌদির সংবাদমাধ্যম আশরাক আল-আসওয়াতকে সিনওয়ারের মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছে। সূত্রগুলো জানিয়েছে, গাজার ভেতর এবং বাইরে থাকা নেতাদের সিনওয়ারের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে।
তারা আরও জানিয়েছেন, সিনওয়ারের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কয়েকদিন আগে সবার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
সিনওয়ার ২০১৭ সাল থেকে গাজায় পলিটিক্যাল প্রধান হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতে, গত ৭ অক্টোবরের হামলার মাস্টারমাইন্ড তথা মূল পরিকল্পনাকারী তিনিই ছিলেন।
তবে ইয়াহিয়া সিনওয়ার হামলায় নিহত হয়েছেন বলে ইসরাইল যে দাবি করেছে- তা নিয়ে এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি হামাস।