পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপর গুলি চালানো সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি নিজের মুখে হামলার কথা স্বীকারও করেছেন। এ সময় হামলার একমাত্র লক্ষ্যবস্তু ইমরান খান এবং এর সঙ্গে আর কেউ জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন ওই যুবক।
পাকিস্তানি সাংবাদিক সৈয়দ তালাত হুসেইনের শেয়ার করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, গ্রেফতার ব্যক্তি বলছেন, ইমরান খান জনগণকে বিভ্রান্ত করছিলেন। সেটি সহ্য করতে না পেরেই তিনি পিটিআই প্রধানকে হত্যার চেষ্টা করেন।
তিনি বলেন, আমি তাকে হত্যা করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আমি শুধু ইমরান খানকেই মারতে চেয়েছিলাম আর কাউকে নয়।
ওই যুবক জানান, ইমরান খান লাহোর ত্যাগের পর থেকেই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করছিলেন তিনি।
এই হামলায় আর কেউ জড়িত কি না জানতে চাইলে হামলাকারী বলেন, আমার সঙ্গে আর কেউ নেই। আমি একা।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ইসলামাবাদ অভিমুখে পিটিআই’র লংমার্চের সপ্তম দিনে গুজরানওয়ালার আল্লাহওয়ালা চকে ইমরান খানকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। হামলায় তিনি ছাড়া আরও চার-পাঁচজন পিটিআই নেতা আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ফয়সাল জাভেদ অন্যতম।
পিটিআই নেতা আসাদ উমর বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, এক লোক স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। ইমরান খানও আহত।
ইমরান ইসমাইল নামে দলটির এক নেতা জানিয়েছেন, পিটিআই চেয়ারম্যানের পায়ে তিন-চারবার গুলি করা হয়েছে।
স্থানীয় বোল টিভির সঙ্গে আলাপকালে ইসমাইল জানান, হামলার সময় তিনি ইমরান খানের পাশেই ছিলেন। হামলাকারী একটি অস্ত্র হাতে সোজা কন্টেইনারের সামনে চলে আসে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, অস্ত্র উঁচিয়ে ইমরান খানের দিকে গুলি করার পরপরই হামলাকারীকে ধরার চেষ্টা করেন এক যুবক। এসময় হামলাকারী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
গুলিবিদ্ধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে, পিটিআই’র লংমার্চে গুলির ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এ ঘটনায় পুলিশের মহাপরিদর্শক এবং পাঞ্জাবের মুখ্য সচিবের কাছ থেকে অবিলম্বে রিপোর্ট চাওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শাহবাজ বলেছেন, নিরাপত্তা ও তদন্তের বিষয়ে পাঞ্জাব সরকারকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা করবে কেন্দ্রীয় সরকার।