প্রতারণার অভিযোগে নিজের বাগদত্তাকে গত মাসে গ্রেফতার করে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন আসাম পুলিশের কর্মকর্তা জুনমণি রাভা। হবু স্বামীর সঙ্গে জালিয়াতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে শনিবার গ্রেফতার হলেন তিনি নিজেই।
জুনমণি ভারতের আসামের নগাঁও জেলার সাব-ইনস্পেক্টর। তাকে গত দু’দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল পুলিশ। মাজুলি জেলার একটি আদালত তাকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। জুনমণিকে মাজুলি জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
দুই ঠিকাদারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই দুই ঠিকাদার পুলিশের কাছে জানান, তারা জুনমণির প্রাক্তন বাগদত্তা রানা পোগাগের সঙ্গে আর্থিক চুক্তি করেছিলেন। জুনমণিই তাদের সঙ্গে রানার যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন। ঠিকাদারদের অভিযোগ, রানা তাদের টাকা নিয়ে জালিয়াতি করেন এবং এই ঘটনায় জুনমণিও সমানভাবে যুক্ত ছিলেন। এর পরই পুলিশ জুনমণিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে।
প্রসঙ্গত, ওএনজিসিতে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কয়েক জনের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা করার অভিযোগে ৫ মে রানাকে গ্রেফতার করেন জুনমণি। মাজুলিতে থাকার সময়ই জুনমণির সঙ্গে আলাপ ও প্রেম হয়েছিল রানার। রানা নিজেকে ওএনজিসির জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। গত বছর ৮ অক্টোবরে ধুমধাম করে তাদের বাগদান পর্ব সম্পন্ন হয়। এর পর নগাঁওতে বদলি হয়ে রানার কুকীর্তির কথা জানতে পারেন বলে জুনমণি দাবি করেছিলেন। রানার ব্যাগ থেকে ওএনজিসির ভুয়ো সিল ও নথিপত্র পেয়ে তাকে গ্রেফতার করেন জুনমণি। রানা বর্তমানে মাজুলি জেলে বন্দি রয়েছেন।