স্ত্রী মারা যাওয়ার কতদিন পর বিয়ে করা যায়? এমনটাই গুগলে সার্চ করেছিলেন এক যুবক। এর পর থেকেই খোঁজ মিলছিল না তাঁর স্ত্রীর। শেষ পর্যন্ত পুলিশি তদন্তে জানা যায়, স্ত্রীকে পরিকল্পনা মাফিক কুপিয়ে হত্যা করে দেহ গুম করেছেন অভিযুক্ত যুবক। ঘটনার তদন্তে নেমে হতবাক হয় পুলিশও।
আমেরিকার ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা নরেশ ভাট, যার বয়স ৩৩। বিয়ে করেন নেপালের বাসিন্দা ২৮ বছর বয়সি মমতা কাফলেকে। বিয়ের পর আমেরিকায় নিয়ে যান স্ত্রীকে। যদিও বেশিদিন সম্পর্ক টেকেনি মমতা-নরেশের। কারণ আচমকা নিখোঁজ হয়ে যান স্ত্রী। তদন্তে নেমে প্রথম দিকে কোন ক্লু পাচ্ছিল না পুলিশ। কিছুতেই নিখোঁজ তরুণীর খোঁজ মিলছিল না। শেষটায় ক্লু দেয় অভিযুক্তের মোবাইল ফোন। সেখান থেকে হাড়হিম করা তথ্য মেলে।
দেখা যায় স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার কিছুদিন আগে নরেশ গুগল সার্চ করেছিলেন, “বউয়ের মৃত্যুর কতদিনের মধ্যে বিয়ে করা যায়?” এর পর স্থানীয় দোকান থেকে হত্যাকাণ্ডের জন্য যা যা প্রয়োজন সেই সব সামগ্রী কেনেন তিনি। এর মধ্যে ছিল ওয়ালমার্টের শোরুম থেকে কেনা তিনটি ধারালো ছুরিও। ওই ছুরিগুলো দিয়েও স্ত্রীর দেহ টুকরো টুকরো করেন নরেশ। যদিও নিজেই আদালতের দ্বারস্থ হয়ে স্ত্রী নিখোঁজের গল্প ফাঁদেন। জানান ২৯ জুলাইয়ের পর থেকে মমতাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
শুরুতে ষড়যন্ত্র ঢাকা থাকলেও গত ২২ আগস্ট নরেশের বাড়িতে তল্লাশি চালাতেই চোখ কপালে ওঠে পুলিশের। ঘরের একাধিক জায়গায় রক্তের ছাপ, নতুন ছুরি দেখে সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। এর পর খুনের বিষয়ে মোটের উপর নিশ্চিত হয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে জেলবন্দি হয়ে দিন কাটছে নরেশের।