সোমালিয়াজুড়ে সংঘাতে কমপক্ষে ৩৬ জন মারা গেছে। দেশটির আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ পান্টল্যান্ডে ভয়বাহ সংঘাত ও লোয়ার শাবেল অঞ্চলে বোমা বিস্ফোরণে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। দেশটির প্রাদেশিক রাজধানী পান্টল্যান্ডের ‘গারওয়ে’-তে স্থানীয় সংসদে ভোটিং পদ্ধতির পরিবর্তন নিয়ে বিতর্ক হয় এবং এ নিয়ে পরে শুরু সংঘর্ষ। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
অন্য তিনজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বিরোধী দলগুলো পান্টল্যান্ডের নেতা সাইদ আবদুল্লাহি ডেনিকে সাংবিধানিক পরিবর্তনের জন্য অভিযুক্ত করার পরে ব্যাপক সংঘাতের সূচনা হয়।
স্থানীয় এক প্রবীণ ফারাহ ওসমান বলেছেন,‘পান্টল্যান্ড পার্লামেন্ট একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ‘এক মানুষ-এক ভোট’ নির্বাচনের জন্য ভোট দেওয়ার পরপরই শুরু হয় লড়াই। আইন প্রণেতারা এখনও নিজ নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছে এবং পুরো শহর ব্যাপক গোলাগুলিতে কেঁপে উঠছে। এটা খুবই ভয়ংকর যুদ্ধ।
অপর একজন প্রত্যক্ষদর্শী ও তিন সন্তানের জননী সিনাব ওমর বলেছেন, তিনি অন্তত দুইজন মৃত বেসামরিক নাগরিক এবং আরো সাতজনকে আহত অবস্থায় দেখেছেন।
অন্যদিকে সোমালিয়ার লোয়ার শাবেল অঞ্চলে পৃথক সহিংসতায় কমপক্ষে দশ জন মারা গেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও একজন সৈন্য জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশু থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত বারিরে গ্রামে দূর-নিয়ন্ত্রিত একাধিক বোমা বিস্ফোরণে প্রাণহানির ওই ঘটনা ঘটে।
নুর দিরিয়ে নামের ওই সৈনিক জানান, ‘প্রথমে একটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটলে বেশ কয়েকজন বেসামরিক লোক নিহত হয়। তাদের উদ্ধার করতে অনেক বেসামরিক ব্যক্তি এবং আমরা সৈন্যরা সেখানে একত্রিত হলে দ্বিতীয় বোমাটি বিস্ফোরিত হয়েছিল।