যুক্তরাজ্যের এক ছয় বছর বয়সী শিশু সমপ্রতি খুঁজে পেয়েছে এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় প্রজাতির হাঙরের একটি বিরল দাঁত। মেগালোডন নামে পরিচিত ওই হাঙর পৃথিবীতে বাস করতো মোটামুটি আজ থেকে ৩০ লাখ থেকে ২ কোটি বছর আগে।
স্যামি শেলটন সম্প্রতি বাবা পিটার শেলটনের সঙ্গে ছুটিতে বেড়াতে গিয়েছিল সাফোকের বোডসি সৈকতে। সেখানেই সে পায় ১০-সেমি লম্বা দাঁতটি।
এত বড় দাঁত দেখে বাপ-ছেলের ধারণা হয় এটি নিশ্চয়ই বিশেষ কিছু হবে। শেষ পর্যন্ত নরউইচের ইস্ট অ্যাংলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবর্তন জীববিজ্ঞানী অধ্যাপক বেন গ্যারড নিশ্চিত করেছেন, দাঁতটি বহু আগে বিলুপ্ত মেগালোডনের।
বোডসি সৈকত জীবাশ্ম অনুসন্ধানীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। শিশু স্যামি, তার বাবা পিটার শেলটনও জীবাশ্মের সন্ধান করছিল। এসময় সে বিশাল দাঁতটি দেখতে পায়। পিটার শেলটন জানিয়েছেন, দাঁতটি পেয়ে স্যামি খুবই উত্তেজিত হয়েছিল, কারণ তারা এর আগে সৈকতে হাঙরের দাঁতের টুকরো দেখলেও কখনও এত বড় আর ভারী কিছু পায়নি। পিটার যোগ করেন, স্যামি দাঁতটাকে এতই পছন্দ করে ফেলেছিল যে রাতে সেটিকে বিছানার কাছে রেখে ঘুমিয়েছিল সে।
পিটার শেলটন তাদের পাওয়া দাঁতের কয়েকটি ছবি অধ্যাপক বেন গ্যারোডকে পাঠিয়েছিলেন। তিনিই নিশ্চিত করেন যে দাঁতটি একটি মেগালোডনের, যা এখন পর্যন্ত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হাঙর। মেগালোডন দৈর্ঘ্যে ১৮ মিটার (৬০ ফুট) পর্যন্ত বড় হতো। ওজন হতো ৬০ টন পর্যন্ত।
অধ্যাপক বেন গ্যারোড বলেছেন, মেগালোডন তিমি খেতো। তারা স্বভাবে ছিল আক্রমণকারী শিকারী। মহাসাগরের অ্যান্টার্কটিকার আশেপাশের অংশগুলো ছাড়া বিশ্বের সব সাগরে এ প্রজাতির আধিপত্য ছিল। মেগালোডন নামের অর্থ হলো ‘বড় দাঁত’।