পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দাবি করেছেন, সেনাপ্রধান পাকিস্তানের রাজনীতিতে সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি। সবাই সেনাপ্রধানের সিদ্ধান্ত মেনে চলেন। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিরোধী দলীয় নেতা ইমরান অভিযোগ করেন, সেনাবাহিনী দেশের ‘দুর্নীতিগ্রস্ত মাফিয়াদের’ পক্ষ নিয়েছে, যাতে তিনি ক্ষমতায় ফিরতে না পারেন। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান গত শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় লাহোরে দলীয় সমর্থকদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন।একইসঙ্গে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দলীয় সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানান ইমরান। তিনি দাবি করেন, ‘আমদানি করা সরকার’ সুপ্রিম কোর্টকে অসম্মান করার চেষ্টা করছে।
পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) নেতৃত্বাধীন জোট সরকার দেশের ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ইমরান খানের ভাষণ সম্প্রচারের উপর ‘অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা’ জারি করেছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন। সুপ্রিম কোর্টে বিভাজন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইমরান।
সুপ্রিম কোর্টে বিভক্তি প্রসঙ্গে ইমরান বলেন, ‘সরকার সুপ্রিম কোর্টকে অসম্মান করার সব ধরনের চেষ্টা করছে। তাই আমি সবাইকে সুপ্রিম কোর্টের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি। পাকিস্তানের গণতন্ত্র এখন সুপ্রিম কোর্টের ওপর নির্ভরশীল। যারা গণতন্ত্র চায়, তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।’
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার যদি সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ না করে এবং সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৪ মে পাঞ্জাবে প্রাদেশিক নির্বাচন না করে তবে পুরো জাতিকে ঈদের পরে রাস্তায় নামতে প্রস্তুত থাকতে হবে। আমি সামনের থেকে এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেব।’