আফগানিস্তানের প্রথম নারী গভর্নর সালিমা মাঝারিকে আটক করেছে তালেবানরা। কট্টরপন্থী তালেবানদের বিরুদ্ধে একসময় অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন সালিমা। তবে আটকের পর তাকে কোথায় রাখা হয়েছে বা তার ভাগ্যে কি ঘটেছে সে বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
আফগানিস্তানের তিনজন নারী গভর্নরের একজন ছিলেন সালিমা মাঝারি।
তালেবানদের হাতে সহজেই যখন আফগানিস্তানের একের পর একটি প্রদেশ দখলে চলে যাচ্ছিল তখন বালাখ প্রদেশের চাহার কিন্ট জেলায় অস্ত্র হাতে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন সালিমা মাঝারি। তালেবানদের হাতে কাবুল পতনের আগ পর্যন্ত চাহার কিন্টকে সন্ত্রাসীদের কবল থেকে মুক্ত রেখেছিলেন সালিমা। কিন্তু তালেবানদের হাতে এখন আটক হওয়ার পর তার জীবন এখন গভীর সংকটে।
ইরানে জন্ম নেওয়া সালিমা মাঝারি সোভিয়েত যুদ্ধের সময় পরিবারের সঙ্গে আফগানিস্তানে আসেন। ইরানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি তার গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। পরে ইরানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন কাজও করেছিলেন।
২০১৮ সালে তিনি বালাখ প্রদেশের চাহার কিন্ট জেলার গভর্নর পদের জন্য আবেদন করেন। তার সেই আবেদনে আফগানিস্তানের আশরাফ গনি সরকার অনুমোদন দিয়েছিল। তালেবানদের আগ্রাসনে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও সালিমা মাঝারি ঠিকই লড়াই চালিয়ে যান। তালেবানদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য মাঝারি তার নিজস্ব মিলিশিয়া বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন। গোটা আফগানিস্তানের সরকার এবং প্রশাসন যেখানে তালেবানদের বিরুদ্ধে আত্মসমর্পণের ভঙ্গিতে হার মেনেছে সেখানে সালিমা মাঝারির একাই লড়াই চালিয়ে গেছেন।