জার্মানির মিউনিখে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স। ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন এবং ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গসহ বিশ্বনেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জার্মানির মিউনিখ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের অর্থাৎ শনিবারের প্রথম আলোচনা সভায় ফিনল্যান্ডের সামরিক জোট ন্যাটেতে যোগদানের বিষয়টি প্রাধান্য পায়।
সভায় দেওয়া বক্তৃতায় ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন বলেন, ‘‘এটি স্পষ্ট যে রাশিয়া যেদিন ইউক্রেনে আক্রমণ করছে সেদিনই ফিনল্যান্ড ন্যাটেতে দিতে চেয়েছে।”
তিনি বলেন, ‘‘যেদিন আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্র রাশিয়া আরেক প্রতিবেশি ইউক্রেনে হামলা চালালো তখনই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ফিনল্যান্ড ন্যাটেতে যোগদান করবে৷ কারণ এটিই একমাত্র সীমারেখা যেটি রাশিয়াঅতিক্রম করবে না।”
ন্যাটেতে কোনো নতুন সদস্য যোগ দিতে চাইলে জোটের সব সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন।
কিন্তু সদস্য রাষ্ট্র তুরস্ক এবং হাঙ্গেরির বাধার কারণে আটকে আছে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের সদস্যপদ৷ তুরস্কের দাবি, এই দেশ দুটি ‘সন্ত্রাসীদের’ অর্থাৎ বিদ্রোহী কুর্দিদের এবং তুরস্কে ২০১৬ সালে হওয়া ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের সন্দেহভাজন নেতা ফেথুল্লাহ গুলেনের সমর্থকদের আশ্রয় দিচ্ছে।
তবে সম্প্রতি কোরান পোড়ানোর এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়্যেপ এর্দোয়ানের মুর্তি পোড়ানোর ঘটনায় সুইডেনের সাথে দেশটির কূটনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এমন পরিস্থিতিতে সুইডেনের সদস্যপদ পাওয়ার বিষয়টি তুরস্ক ও হাঙ্গেরির অনুমোদনের জন্য আটকে থাকলে ফিনল্যান্ডের আলাদাভাবে ন্যোটেতে যোগদান করবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে, ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা এ বিষয়ে একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছি।”
‘‘আমরা সুইডেনকে নিয়ে একসাথে এবং একই সময়ে ন্যাটেতে যোগদান করতে চাই। এর একমাত্র কারণ হলো আমরা ভালো প্রতিবেশি এবং সহযোগী।”
তিনি আরো জানান, একসাথে সদস্যপদ পাওয়ার বিষয়ে দু’দেশের আগ্রহ রয়েছে। সেইসাথে এটি ন্যাটোর কোশলগত আগ্রহের বিষয়ও।
তবে তিনি বলেন, ‘‘সদস্য দেশগুলো কীভাবে এ বিষয়টির অনুমোদন দেবে তা আমরা প্রভাবিত করতে পারি না। এটি তাদের সিদ্ধান্ত।”
‘‘আমাদের কথা হলো, আমরা ন্যোটেতে যোগ দিতে চাই। আমরা (ফিনল্যান্ড ও সুইডেন) একসাথে যোগ দিতে আগ্রহী।”