ভারতে সবচেয়ে কম জন্মহার সিকিম রাজ্যে। তাই জন্মহার বাড়াতে বিশেষ পদক্ষেপ নিল সিকিম সরকার। একাধিক সন্তান থাকলে বিশেষ সুবিধা পাবেন নারী সরকারি কর্মচারীরা।
জন্মের হার বাড়াতে অভিনব এ উদ্যোগ নিল সিকিম সরকার। বেশ কয়েক বছর ধরে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে আদিবাসী জাতির জনসংখ্যা কমছে। এছাড়াও সাধারণ জনসংখ্যাও নিম্নগামী। সেই হ্রাস আটকাতেই এবার অভিনব পদক্ষেপ নিল সিকিমের প্রেম সিং তামাং-এর সরকার।
সন্তান উৎপাদনে উৎসাহ দিতে নারী কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারের সাম্প্রতিক নির্দেশে জানানো হয়, দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের জন্য বিশেষ বেতন পাবেন নারী কর্মচারীরা।
প্রসঙ্গত, ভারতের অন্য রাজ্যের তুলনায় সবচেয়ে কম সন্তান উৎপাদনের হার সিকিমে। এর ফলে জনসংখ্যার উপরেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সেই সমস্যা এড়াতেই এবার পদক্ষেপ সিকিম সরকারের। আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে সন্তান উৎপাদনের হার বাড়াতেও সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী।
প্রায় এক বছর আগে ২০২১ সালে ১৪ নভেম্বর ক্যাবিনেট গঠন করে সিকিমের ক্রান্তিকারি মোর্চা। সরকার গড়ার এক বছরের মধ্যেই এমন অভিনব পদক্ষেপ নেওয়া হল।
প্রসঙ্গত, সন্তান উৎপাদনের হার বাড়াতে এই প্রথম ভারতের কোনও রাজ্য এমন সুবিধার কথা ঘোষণা দিল।
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নারী সরকারি কর্মচারীরা দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিলে তাদের বেতনে বিশেষ বৃদ্ধি হবে। আর তৃতীয় সন্তান হলে দুবার বাড়ানো হবে বেতন। এর পাশাপাশি আরও জানানো হয়, শিশুর জন্মের পর মায়েরা ৩৬৫ দিনের মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন। অন্যদিকে সদ্য বাবা হয়েছেন এমন কর্মচারীরা ৩০ দিনের পিতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান, সন্তান উৎপাদনের হার অনেকটাই কমে যাচ্ছে। এই ক্রমহ্রাসমান জন্মের হার বাড়াতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হল। আঞ্চলিক লোকদের সন্তান জন্মে উৎসাহ দিতেই চালু করা হল এই সুবিধা। তার কথায়, গত কিছু বছরে সিকিমের জন্ম হার অনেকটাই কমে গেছে। পাশাপাশি প্রতি মহিলা পিছু একজন করে শিশুর পরিসংখ্যান আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে উদ্বেগ।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আঞ্চলিক যেসব নাগরিকের একের বেশি সন্তান রয়েছে, তারাও আর্থিক সুবিধা পাওয়ার যোগ্য। এই সুবিধা প্রদানের ব্যাপারটি রাজ্যের স্বাস্থ্য নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তর দেখাশোনা করছে।
এই বিশেষ সুবিধাগুলির পাশাপাশি তামাং সরকারের তরফে জানানো হয়, বিভিন্ন হাসপাতালে আইভিএফ পদ্ধতির সাহায্যে সন্তান উৎপাদনে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এতে যে নারীরা সন্তান উৎপাদনে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন, তারাও সন্তান নিতে পারবেন।