নিলামে সাড়ে ছয় লাখ পাউন্ডে বিক্রি হয়েছে প্রিন্সেস ডায়ানার ব্যবহৃত একটি গাড়ি। ১৯৮৫ সালের আগস্ট মাস থেকে প্রায় তিন বছর কালো রঙের ফোর্ড এসকর্ট আরএস টার্বো গাড়িটি ব্যবহার করেছেন ব্রিটিশ রাজবধূ প্রিন্সেস অব ওয়েলস ডায়ানা। গতকাল শনিবার যুক্তরাজ্যের এক ক্রেতা নিলামে গাড়িটি কিনে নেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাড়িটির সঙ্গে চেলসি ও কেনসিংটনে ছবিও তুলেছেন ডায়ানা। সি৪৬২এফএইচকে নম্বরে নিবন্ধিত গাড়িটি যুক্তরাজ্যের ওয়ার্কশায়ারের নিলামকারী প্রতিষ্ঠান সিলভারস্টোনের অকশনের মাধ্যমে বিক্রি হয়। গাড়িটি কিনে নিয়েছেন চেশায়ারের এক বাসিন্দা।
নিলামকারী জোনাথন হামবার্ট বলেন, গাড়িটির প্রতি মানুষের ব্যাপক আগ্রহ ছিল, যেটি ১২ বছরে তাঁদের প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক টেলিফোন বিড পেয়েছে। নিলামের বিডিং এক লাখ পাউন্ড থেকে শুরু হয় এবং খুব দ্রুত দুবাইসহ বেশ কিছু অঞ্চলের ক্রেতাদের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতায় পরিণত হয়।
গাড়িটিকে প্রথম এবং একমাত্র কালো রঙের আরএস টার্বো সিরিজ-১ হিসেবে অনন্য বলে মনে করা হচ্ছে। গত বছরের জুনে ডায়ানার ব্যবহৃত আরও একটি ফোর্ড এসকর্ট গাড়ি নিলামে বিক্রি হয়েছিল ৫২ হাজার পাউন্ডে।
মাত্র ৩৬ বছর বয়সে প্রিন্সেস ডায়ানা মারা যান। কিন্তু এখনো বিশ্বজুড়ে বহু মানুষের ‘হৃদয়ের রাজকুমারী’ হয়ে রয়ে গেছেন তিনি। ডায়ানার মৃত্যু এখনো যেমন মানুষকে ভাবায়, তেমনি ব্রিটিশ রাজপরিবারের ওপর ভর করে আছে তাঁর মৃত্যুর ছায়া। ৩১ আগস্ট ডায়ানার ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী।
১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ব্রিটিশ রাজবধূ প্রিন্সেস অব ওয়েলস ডায়ানা। দুর্ঘটনার সময় লিমোজিনে ডায়ানার সঙ্গে ছিলেন তাঁর প্রেমিক মিসরের দোদি আল-ফায়েদ।
ছবি তোলার জন্য মোটরসাইকেলে পিছু নেওয়া পাপারাজ্জিদের হাত থেকে নিরাপদে থাকার জন্য গাড়িটি দ্রুতবেগে চলতে শুরু করে। তখন কংক্রিটের পিলারের সঙ্গে গাড়িটির সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা যান দোদি।
ভোররাত চারটার দিকে হাসপাতালে ডায়ানাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ডায়ানা যখন মারা যান, তখন তাঁর ছেলে প্রিন্স উইলিয়ামের বয়স মাত্র ১৫ ও প্রিন্স হ্যারির বয়স ১২ বছর।