ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বারলুসকোনি মারা গেছেন গত মাসে। কিন্তু মৃত্যুর আগে এক উইলের মাধ্যমে নিজের বিশাল সম্পত্তি উত্তরাধিকারদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে দিয়েছিলেন তিনি। বারলুসকোনির ইচ্ছানুসারে তার ৩৩ বছর বয়সী প্রেমিকা মারতা ফ্যাসিনা পেয়েছেন ১০ কোটি ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১১শ ৮৩ কোটি টাকার বেশি।
অবশ্য ইতালির তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও মিডিয়া মুঘল সিলভিও বারলুসকোনির মোট সম্পত্তির তুলনায় এটি নগণ্যই বটে! ধারণা করা হয়, তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৬০০ কোটি ইউরোর (প্রায় ৭১ হাজার কোটি টাকা) বেশি।
প্রেমিকার পাশাপাশি ভাই পাওলোকেও ১০ কোটি ইউরো দিয়ে গেছেন বারলুসকোনি। এছাড়া দীর্ঘদিনের বন্ধু ও তার প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল ফোরজা ইটালিয়ার সাবেক সিনেটর মারসেলো দেল’উরতির নামে তিন কোটি ইউরো দান করেছেন তিনি।
গত বুধবার রাতে পাঁচ সন্তান ও অন্যান্য সাক্ষীদের সামনে বারলুসকোনির উইল উন্মুক্ত করা হয়। এ বিষয়ে প্রথম খবর প্রকাশ করে ইতালীয় বার্তা সংস্থা আনসা। পরে তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান।
জানা গেছে, বারলুসকোনির বিশাল ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ পেয়েছেন তার প্রথম স্ত্রীর দুই সন্তান মারিনা ও পিয়ের সিলভিও। হোল্ডিং কোম্পানি ফিনিনভেস্টের ৫৩ শতাংশ শেয়ার তাদের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করে দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। বাকি সব সম্পত্তি ভাগ করে দিয়েছেন পাঁচ সন্তানের মধ্যে (মারিনা-পিয়েরসহ)।
আনসা জানিয়েছে, ফিনিনভেস্টের বিষয়ে ২০০৬ সালেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বারলুসকোনি। তার মৃত্যুর অনেক আগেই প্রতিষ্ঠানটির প্রধানের পদে বসেন মারিনা। আর বারলুসকোনি পরিবারের প্রধান সম্পত্তি ম্যাস মিডিয়া কোম্পানি মিডিয়াসেটের উপ-প্রধান পদে রয়েছেন পিয়ের সিলভিও।
প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী তার উইলে লিখে গেছেন, আমি আমার সন্তান মারিনা ও পিয়ার সিলভিওর জন্য উপলব্ধ শেয়ার সমান অংশে ছেড়ে যাচ্ছি। বাকি সব আমার পাঁচ সন্তান মারিনা, পিয়ার সিলভিও, বারবারা, এলিওনোরা এবং লুইগিকে সমান ভাগে ভাগ করে দিচ্ছি।
সবশেষে স্বাক্ষরের সঙ্গে লেখা ছিল, ধন্যবাদ, তোমাদের সবার জন্য অনেক ভালোবাসা, তোমাদের বাবা।