২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে তৃতীয় ফ্রন্ট তৈরির চেষ্টা করছেন আপ সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
তিনি অকংগ্রেসী ও অবিজেপি শক্তিগুলোকে এক করার চেষ্টা করছেন। তবে এই তৃতীয় ফ্রন্ট তৈরির প্রথম ধাপেই তিনি বড় ধাক্কা খেয়েছেন বলে খবর।
তিনি ৭ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন। তার মধ্যে নীতীশ কুমার, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, কে চন্দ্রশেখর রাও প্রমুখ রয়েছেন। তাদেরকে এই ফ্রন্টে যোগ দেওয়ার জন্য চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি। গেল ১৮ মার্চ তাদেরকে দিল্লিতে ডিনারে ডেকেছিলেন তিনি। কিন্তু আপ নেতার সেই ডিনারে যেতে চাননি মমতাসহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। সেজন্য নানা ধরনের অজুহাত তারা সামনে এনেছেন।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে-একটি তৃতীয় ফ্রন্ট তৈরির জন্য কেজরিওয়াল চেষ্টা করছিলেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি তিনি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। এরপর ১৮ মার্চ তিনি সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ তাদের ডিনারে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই তালিকায় ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। সেই গ্রুপের নাম দেওয়া হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীদের প্রগতিশীল গ্রুপ বা জি-৮।
১৯ মার্চ যৌথ সাংবাদিক বৈঠক হওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু কেজরিওয়ালের চিঠি পাওয়ার পরে কেউই বিশেষ ইতিবাচক সাড়া দিতে চাননি। এমনকী তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীও বেঁকে বসেন।
এদিকে কেসিআরের এই ভূমিকায় অবাক হয়ে যান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কারণ কেসিআরের মঞ্চে কিন্তু তিনি গিয়েছিলেন। কিন্তু কেজরিওয়াল যখন আমন্ত্রণ জানালেন সেখানে কেউ এলেন না। এদিকে নীতীশ ও মমতাও সাড়া দিলেন না সেই আমন্ত্রণে।
তবে সূত্রের খবর-নীতীশ কুমার আর মমতা ব্যানার্জি আবার আলাদা করে তৃতীয় ফ্রন্ট তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে সবাই তাদের মতো করে বিজেপি বিরোধী ফ্রন্ট করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কেউ সফল হচ্ছেন না। এদিকে আপ নেতাও তার মতো করে মুখ্যমন্ত্রীদের এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা করছেন। কিন্তু গোড়াতেই ধাক্কা খেলেন তিনি।
এদিকে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে কীভাবে কেন্দ্রে বিরোধী জোট করা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গেছে। তবে ইতিমধ্যেই তৃণমূলসহ একাধিক দল কংগ্রেসকে বিঁধতে শুরু করেছেন। সেক্ষেত্রে আদৌ কি বিরোধী জোট সম্ভব।