কথায় আছে, পেটে খেলে পিঠে সয়। অর্থাৎ, পেটে খাবার থাকলে ভালো, না থাকলেই প্রতিবাদী হয়ে ওঠে মানুষ। শ্রীলঙ্কানদের অবস্থা হয়েছে অনেকটা সেরকম। স্বাধীনতার পর থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মুখে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশটি। লঙ্কান অর্থনীতির এমন মৃতপ্রায় অবস্থার জন্য সরকারকেই দুষছে জনগণ।
শ্রীলঙ্কায় কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছিল রাজাপাকসে প্রশাসনের পদত্যাগ দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন। কিন্তু সোমবার (৯ মে) তা হঠাৎই সহিংস হয়ে ওঠে। এদিন শ্রীলঙ্কার মন্ত্রী-এমপিসহ অর্ধশতাধিক নেতার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। বাদ পড়েনি দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পৈত্রিক বাড়িও।
ব্যাপক বিক্ষোভ-সহিংসতায় দ্বীপরাষ্ট্রটিতে এ পর্যন্ত সাতজন নিহত ও দেড়শর বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। মৃতদের মধ্যে এক এমপি রয়েছেন। আরেক এমপি আহত হয়ে এখন হাসপাতালে ভর্তি।
উত্তপ্ত এ পরিস্থিতির মধ্যে শুধু সরকারের মন্ত্রী-এমপিরাই নন, তোপের মুখে পড়ছেন তাদের সমর্থকরাও। সোমবার (৯ মে) শ্রীলঙ্কা টুইট নামে একটি টুইটার হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, সরকারপন্থি এক ব্যক্তিকে ধরে ময়লার গাড়িতে ফেলে দিচ্ছে একদল বিক্ষোভকারী। এসময় ক্ষুব্ধ জনতার ভেতর থেকে বলতে শোনা যায়, এটাই কলম্বো।
ওই একই হ্যান্ডেল থেকে প্রকাশিত আরেকটি টুইটে বলা হয়, গলে-ভিত্তিক বিক্ষোভকারীদের তাড়া খেয়ে বেরওয়েওয়া লেকে ঝাঁপ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সমর্থকরা। এ ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে, লঙ্কান প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করা চলা বিক্ষোভে সোমবার হামলা চালায় সরকারপন্থিরা। অভিযোগ উঠেছে, বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা করতে সেখানে কয়েদিদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এর একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এদিকে, জনতার ক্ষোভের মুখে সোমবার পদত্যাগ করেছেন লঙ্কান প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। তবে তার ভাই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে এখনো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা।