অবশেষে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার এবং বাহরাইনের মধ্যকার সম্পর্কের বরফ গলে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে যাচ্ছে। নিজেদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে দেশ দুটি। কাতার এবং বাহরাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বুধবার (১২ এপ্রিল) গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলে (জিসিসি) দুদেশের প্রতিনিধিরা সাক্ষাৎ করেছেন। খবর আল জাজিরার।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, উপসাগরীয় ঐক্য ও সংহতি বাড়ানোর জন্য সাক্ষাৎ করেছেন দুদেশের প্রতিনিধিরা।
বাহরাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনীতি বিষয়ক উপসচিব শেখ আবদুল্লাহ বিন আহমেদ আল খলিফার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন কাতারের পররাষ্ট্র বিষয়ক মহাসচিব আহমেদ বিন হাসান আল হামাদি। ২০১৭ সালে কাতারের সঙ্গে চার আরব দেশের যে বিবাদের সূত্রপাত হয়েছিল তা সমাধানের বিষয়ে আলোচনা করেছেন তারা।
সে বছর কাতারের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে বাহরাইন, সৌদি আরব, আরব আমিরাত এবং মিশর। ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সহায়তার অভিযোগে এই নিষেধাজ্ঞা আনা হয়। তারপর থেকেই গত কয়েক বছর ধরে এই চার দেশের সঙ্গে কাতারের সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছে। যদিও নিজেদের বিরুদ্ধে আনা সব ধরনের অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে দোহা।
কাতারের বিমান ও জাহাজকে নিজেদের আকাশসীমা ও জলসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বাণিজ্য সম্পর্কও বিচ্ছিন্ন করে আরব দেশগুলো। তবে ২০২১ সালে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মিশর এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কাতার এখনও তাদের নিজ নিজ দূতাবাস খুলতে পারেনি।
অপরদিকে ইরানের সঙ্গে কাতারের সম্পর্ক এবং তাদের সামুদ্রিক সীমানাকে কেন্দ্র করেই মূলত কাতারের সঙ্গে বাহরাইনের বিরোধ। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাহরাইনের ক্রাউন প্রিন্স এবং কাতারের আমির এক ফোনকলে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের বিষয়ে আলোচনা করেন।