সমকামিতা বিষয়ক জাতিসংঘের রেজোলিউশনের নিন্দা করে এর বিরুদ্ধে সৌদি আরবের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়েছেন সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি এবং সিনিয়র স্কলার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ আবদুল আজিজ বিন মুহাম্মদ আল শেখ। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সৌদির বার্তা সংস্থার সূত্রে সৌদি গেজেট এ তথ্য জানিয়েছে।
সমকামিতাকে ‘সবচেয়ে জঘন্য ও কুৎসিত অপরাধ’ অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘রেজোলিউশনের শর্তাবলীতে সৌদি আরব একমত নয়। কারণ তা ঐতিহাসিক আরব ও ইসলামী পরিচয়ের পরিপন্থী। তাই সৌদি আরবের কাছে এ রেজোলিউশন অগ্রহণযোগ্য বলে জানান তিনি।
এদিকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ‘গণতন্ত্র প্রসারে সবার ভূমিকা সুদৃঢ়করণ’ একটি খসড়া রেজোলিউশন সম্পর্কে আপত্তি জানিয়েছে সৌদি আরব। এতে ‘যৌন অভিমুখীতা ও লিঙ্গ পরিচয়’ বিষয়ক বাধ্যবাধকতার স্বীকৃতি অন্তর্ভূক্ত থাকায় তা প্রত্যাখ্যানের কথা জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত সৌদি আরবের স্থায়ী প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মুয়াল্লিমি। এর শর্তগুলো সৌদির ইতিহাস ও অন্যান্য দেশের আইনের পরিপন্থী বলে জানান তিনি।
এক বিবৃতিতে শেখ আবদুল আজিজ বলেন, ‘মহান আল্লাহর কাছে সমকামিতা সবচেয়ে জঘন্য ও নিকৃষ্টতম পাপগুলোর অন্যতম। এ অপরাধীরা মহান আল্লাহর কাছে সবচেয়ে ঘৃণিত। তারা দুনিয়া ও আখেরাতে লাঞ্ছিত ও অপমানিত বলে গণ্য হবে জানান তিনি।’
সৌদি বাদশাহ সালমান ও ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে এ ধরনের মিথ্যা দাবি ও অপমানজনক স্লোগানের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের দৃঢ় অবস্থানের কথা উল্লেখ করেন দেশটির গ্র্যান্ড মুফতি বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তার বিধানে মানবাধিকার অনেক বিস্তৃত। মানুষের কল্যাণ, সমাজের নিরাপত্তা ও ন্যায়নিষ্ঠা নিশ্চিত করতেই এ অধিকার প্রযোজ্য হবে। ভূপৃষ্ঠে বিকৃত মানসিকতা তৈরি করে বিশৃঙ্খলা তৈরিতে এ অধিকার প্রযোজ্য হবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে পুরো বিশ্বে ঘৃণ্য দাবি, কলুষিত স্লোগান ও ভায়াবহ বিকৃতি ছড়িয়ে পড়েছে। এসব চিন্তা-ভাবনার মধ্য দিয়ে মানুষকে মনুষ্যত্বহীন করার চক্রান্ত চলছে। আল্লাহ প্রদত্ত মানুষের অনন্য বৈশিষ্ট্য মুছে ফেলার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।’
এ রেজোলিউশনে ‘বৈচিত্রপূর্ণ সংস্কৃতি’র সংরক্ষণে গুরুত্বারোপ করা হয়, যা মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য করে সৌদি আরব। এমনকি সমকামীদের এ ধরনের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার সমালোচনার মুখোমুখী হয়েছে দেশটি।