সবার আগে ইংরেজি নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড ও ওশেনিয়া মহাদেশের ছোট্ট দেশ কিরিবাতি। আন্তর্জাতিক সময় অনুযায়ী ২০২৪ সালকে সবার আগে স্বাগত জানানোর সুযোগ পেয়েছে এ দুটি দেশ।
জানা গেছে, নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে রোববার (৩১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা থেকে অকল্যান্ড শহরের বিখ্যাত স্কাই টাওয়ার ঘিরে জড়ো হতে থাকেন হাজারো মানুষ। স্থানীয় সময় অনুযায়ী, ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টার ঘরে পৌঁছাতেই স্কাই টাওয়ার থেকে আতশবাজির আলোয় ভরে ওঠে শহরের আকাশ।
নিউজিল্যান্ডেরও এক ঘণ্টা আগে নতুন বছর শুরু করে কিরিবাতির বাসিন্দারা। এদিকে, এ দুটি দেশের পরেই নববর্ষ উদ্যাপন করে অস্ট্রেলিয়ায়। দেশটির সিডনি শহরের হারবার ব্রিজ ও অপেরা হাউজ থেকে প্রতিবছর এই উদ্যাপন উৎসবের আয়োজন করা হয়। জানা গেছে, নতুন বছর উপলক্ষে এবার ৮ টন সমপরিমাণ আতশবাজি ফোটাবে অস্ট্রেলিয়া।
বিশ্বের প্রধান শহরগুলোর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডেই সবার আগে নববর্ষ উদ্যাপন করা হয়। তবে বলা যায়, নববর্ষ উপলক্ষে সিডনিতেই প্রতিবছর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আতশবাজি ফোটানো হয়। আর সেই দৃশ্য দেখতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ এই শহরে নববর্ষ উদ্যাপন করতে যায়।
অপেরা হাউজ এলাকায় জড়ো হওয়া পর্যটকদের একজন বিবিসিকে বলেন, জানিয়েছেন, আমরা ফ্রান্স থেকে এসেছি। রোববার ভোর ৩টা থেকেই আমি ও আমার পরিবার হারবার ব্রিজের ঠিক সামনে অবস্থান নিয়েছি। এই মুহূর্তের জন্য আমরা অনেক দিন ধরে অপেক্ষা করেছি।
এরপর টোঙ্গা ও সামোয়া নতুন বছরকে স্বাগত জানাবে। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন বছর ২০২৪ সালকে বরণে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নিউইয়র্কের বিখ্যাত টাইমস স্কয়ার কর্তৃপক্ষ ও নববর্ষ উদযাপন আয়োজকরা নতুন বছরকে বরণে প্রস্তুত বেলে জানিয়েছেন। সেখানে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে জাপান, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ায় সাড়ম্বরে নববর্ষ উদ্যাপন করা হবে। এভাবে চীন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং ও ফিলিপাইনও অগ্রবর্তী দেশ হিসেবে নতুন বছরে পা রাখবে।