শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ে রাজাপাকসের কার্যালয়ের সমানের রাস্তায় ক্যাম্প স্থাপন করেছে বিক্ষোভকারীরা। প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তারা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রবল বৃষ্টি থাকা সত্ত্বেও গত শনিবার থেকে শত শত মানুষ সেখানে বিক্ষোভ করছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ও তার প্রভাবশালী ভাই পদত্যাগ করবেন ততক্ষণ বিক্ষোভ চলবে বলেও জানা গেছে।
শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর অভিজাত এলাকায় বিভিন্ন রংয়ের তাঁবু টানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। এদিকে বিক্ষোভকারীদের সহায়তায়ও এগিয়ে এসেছে অনেকে। এরই মধ্যে সেখানে খাবার, পানি ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে। এমনকি ভ্রাম্যমাণ টয়লেটেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দেশটির নারী, পুরুষ ও শিশুরা সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। শ্রীলঙ্কার পতাকা হাতে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগানও দিচ্ছে তারা।
১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ আর্থিক সংকটে ভুগছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কা। দেশটির চারদিকে এখন শুধুই হাহাকার। চলছে জ্বালানি তেলের তীব্র সংকট। তেল সংগ্রহের জন্য হাজার-হাজার মানুষ লাইনে ভিড় করছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পেট্রল পাম্পগুলোতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে লঙ্কান সরকার। কাগজের অভাবে স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে শ্রীলঙ্কা। কারণ, কাগজ আমদানির মতো বৈদেশিক মুদ্রা তাদের কাছে নেই। বিদেশি ঋণের ভারে আজ জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্রটি। পরিস্থিতি এমন অবস্থায় ঠেকেছে, তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি ব্যয়ও মেটাতে পারছে না। যার ফলে জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছুঁয়েছে।