যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ বাতিল করতে নির্বাহী আদেশে সই করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিভাগটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদিও পুরো বিভাগ বন্ধ করতে হলে কংগ্রেসের অনুমোদন লাগবে। শিক্ষার দায়িত্ব এবার রাজ্যগুলোর হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
তবে কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য ঋণ ও পেল গ্রান্টসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিভাগ কয়েক দশকে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আনতে পারেনি। তাই বাজেট কমিয়ে শিক্ষার নিয়ন্ত্রণ রাজ্যগুলোর হাতে তুলে দেওয়া হবে।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব শিক্ষা অধিকারকর্মীরা। তবে শিক্ষা বিভাগে বড় পরিবর্তনের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছে হোয়াইট হাউস। তারা বলছে, শিক্ষা খাতে ব্যয় হয়েছে ৩ ট্রিলিয়ন ডলার, কিন্তু শিক্ষার্থীদের ফলাফলে তেমন উন্নতি আসেনি। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবর্তে রাজ্যগুলোকেই শিক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে।
যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে জাতীয় শিক্ষানীতির সমন্বয় বিঘ্নিত হতে পারে এবং বিভিন্ন রাজ্যে শিক্ষার মানের পার্থক্য আরও প্রকট হয়ে উঠবে।
ট্রাম্পের অভিযোগ, শিক্ষা বিভাগ তরুণদের অপ্রয়োজনীয় জাতিগত, যৌন ও রাজনৈতিক মতাদর্শে প্রভাবিত করছে। অনেকেরই ভুল ধারণা, শিক্ষা বিভাগ যুক্তরাষ্ট্রের স্কুল পরিচালনা করে ও পাঠ্যক্রম নির্ধারণ করে। তবে এটি প্রকৃতপক্ষে অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় শিক্ষা বোর্ডের দায়িত্ব।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মোট তহবিলের মাত্র ১৩ শতাংশ আসে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে। বাকি অর্থের বেশিরভাগই আসে অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় সংস্থাগুলো থেকে।
অন্যদিকে শিক্ষা বিভাগ লাখো আমেরিকানের উচ্চশিক্ষার খরচ বহনে ব্যবহৃত কেন্দ্রীয় শিক্ষাঋণ ব্যবস্থাপনা ও তদারকির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।