ফ্রান্সে প্রসিডেন্ট নির্বাচনে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছেন ডানপন্থি প্রার্থী মেরিন লে পেন। চলছে দুই প্রার্থীর টেলিভিশন বিতর্ক। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সতর্ক করে বলেছেন, লে পেন নির্বাচিত হলে দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হবে। কারণ তিনি ক্ষমতায় এলে হিজাব বন্ধের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন।
টেলিভিশন বিতর্ক চলাকালে লে পেন বিতর্কিত পরিকল্পনা হিজাব নিষিদ্ধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হিজাব মুসলিমদের চাপিয়ে দেওয়া বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে আমার যুদ্ধ ইসলামের বিরুদ্ধে নয়।
এসময় লে পেনকে উদ্দেশ্য করে ম্যাক্রোঁ বলেন, আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি আপনি গৃহযুদ্ধের সূচনা করতে যাচ্ছেন।
ম্যাক্রোঁ আরও বলেন, ফ্রান্স হচ্ছে আলোকবর্তীকা ও সভ্যতার প্রতীক। জনসম্মুখে হিজাব নিষিদ্ধ করলে এ ক্ষেত্রে ফ্রান্স হবে বিশ্বের প্রথম দেশ। এটা কোনো ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে না বলেও জানান তিনি।
দেশটির দুই ধাপের ভোটের প্রথম পর্বে ডান-বাম ও মধ্যপন্থি মিলিয়ে ১২ জন প্রার্থী অংশ নেন। রোববার (১০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত ভোটের প্রথম পর্বে ক্ষমতাসীন এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জয় পেয়েছেন। দ্বিতীয় পর্বে ম্যাক্রোঁর সঙ্গে লড়বেন চরম ডানপন্থি জাতীয়তাবাদী প্রতিদ্বন্দ্বী মেরি লে পেন।
২০০২ সালের পর থেকে কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্ট পরপর দুবার নির্বাচিত হননি। প্রথম পর্বে জয় পেলেও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর জন্য দ্বিতীয় পর্বে জয়ী হওয়া কঠিন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।