টানা এক বছরের আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করার পর এবার মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অংশে নজর ফেলেছে ইসরায়েল। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর লাগাতার হামলায় মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে লেবানন জুড়ে। ভূ-খণ্ডটিতে হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এ কয়দিনে। বাস্তুচ্যুত হয়ে সিরিয়ায় পালিয়ে যাচ্ছেন লাখ লাখ লেবানিজ। এরই মধ্যে খবর এলো, হুথি গোষ্ঠীকে টার্গেট করে ইয়েমেনেও বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ইয়েমেনের বন্দরনগরী হোদেইদাকে লক্ষ্য করে এ হামলাটি চালানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ইয়েমেনি সংবাদমাধ্যমে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ হামলার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ইতোমধ্যে, যাতে দেখা যাচ্ছে, হোদেইদার একটি জায়গা থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হচ্ছে।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হচ্ছে, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের হামলার জবাবেই পাল্টা এ হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। তারা বলছে, গত এক মাসে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিনটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা।
সৌদির সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া জানিয়েছে, ইয়েমেনের হোদেইদা বন্দরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলার মূল লক্ষ্য একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
হুথি বিদ্রোহীগোষ্ঠীর মুখপাত্র বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ইয়াাহিয়া সারে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিমান ইসরায়েলে আসার পর তারা বেনগুরিয়ন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছেন। হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে এই হামলা চালানো হয় বলে জানান তিনি।
তবে ইসরায়েল দাবি করে, ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলে প্রবেশের আগেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় লেবাননে বিমান হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার পর এবার দেশটিতে নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ইসরায়েল। রোববার থেকে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক বোমাবর্ষণ শুরু করেছে ইস্বরায়েলি বিমানবাহিনী। সবশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, হিজবুল্লাহর সবশেষ জীবিত সিনিয়র সামরিক কমান্ডার আবু আলী রিদাকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মার্কিন মদদপুষ্ট দেশটির অব্যাহত হামলায় মুহূর্মুহ কেঁপে উঠছে লেবাননের রাজধানী বৈরুত।