লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির বিরুদ্ধে ফ্রান্সে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই ধনকুবের রাজনীতিবিদ ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, অর্থপাচারসহ একাধিক আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে দুটি দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা। নাজিব মিকাতি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
চলতি সপ্তাহে ফ্রান্সে এই অভিযোগ দাখিল করেছে দুর্নীতিবিরোধী পর্যবেক্ষণ সংস্থা শেরপা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বোর্ডন বলেছেন, এটা ধনকুবের রাজনীতিবিদ হওয়ার ‘যান্ত্রিক’ পরিণতি। বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে নিজের অবস্থানকে এক ধরনের আশ্রয় বা ঢাল বলে মনে করেন তিনি।
রিয়াদ সালামেহের ‘কেলেঙ্কারির পুনরাবৃত্তি’
দুর্নীতিবিরোধী অ্যাক্টিভিস্টদের আশা, ‘কোন পরিস্থিতিতে নাজিব মিকাতির মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা বিপুল পরিমাণে সম্পত্তি হস্তগত করেছেন তদন্তে তা উঠে আসা উচিত। এ ছাড়াও সহায়তাকারী আর্থিক মধ্যস্থতাকারীদের ভূমিকার কথাও এই তদন্তে উঠে আসবে।’
নাজিব মিকাতি এবং লেবাননের সাবেক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর রিয়াদ সালামেহর সংযোগের প্রতি তদন্তকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা। কয়েক দশক গভর্নরের পদে ছিলেন রিয়াদ সালামেহ।
লেবাননের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তহবিল থেকে কয়েক কোটি ডলার হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সালামেহ ও তাঁর ভাই রাজার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ফ্রান্স ও জার্মানি।
কী বললেন নাজিব মিকাতি?
নাজিব মিকাতির কার্যালয় ‘মিডিয়া প্রচারণার অংশ’ হিসেবে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খারিজ করে আনুষ্ঠানিক একটি বিবৃতি জারি করে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘মিকাতি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অপমান করতে’ এমন অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, মিকাতি ও তাঁর পরিবারের সম্পদ স্বচ্ছপথে এবং আইনিপ্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত।
মিকাতির কার্যালয়ের দাবি, রাজনীতিবিদকে অভিযোগের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
ফোর্বসের দেওয়া তথ্য অনুসারে, নাজিব মিকাতির মোট সম্পদ ২০২৩ সালের হিসাবে ২৮০ কোটি ডলার। লেবাননের অন্যতম ধনী ব্যক্তি তিনি। ৬৮ বছর বয়সী নাজিব ও তাঁর ভাই আশির দশকে টেলিকমিউনিকেশন কম্পানি ইনভেস্টকম প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৬ সালে ৫৫০ কোটি ডলারে তা বিক্রি করে দেন।
মিকাতি ২০২১ সাল থেকে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।