প্রতি বছরই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ভারতের ভোটারের সংখ্যা। ১৪০ কোটির দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা ৯৬.৮ কোটি।
গত শনিবার ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে এই তথ্য দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মোট ৭টি ধাপে ভোট নেওয়া হবে দেশটির ৫৪৩টি আসনে। ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন- ৪৪ দিন ধরে চলবে এই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। ফল ঘোষণা ৪ জুন।
পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৫১-৫২ সালে ভারতে প্রথম লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে দেশটিতে ভোটারদের সংখ্যা বহুগুণ বেড়েছে। প্রথম লোকসভার ভোটে ভোটার সংখ্যা ছিল মাত্র ১৭.৩২ কোটি। এমনকি শেষবার ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ৯১.২ কোটি। তা থেকে ৬ শতাংশ বেড়ে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৬.৮ কোটি।
কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, কেবলমাত্র ২০২৩ সাল থেকে গত এক বছরে নতুন ভোটার বেড়েছে ২ কোটি ৬৩ লাখ। ২০১৯ সাল থেকে যে অতিরিক্ত ৫.৬ কোটি ভোটার বৃদ্ধি পেয়েছে এর মধ্যে ১.৮ কোটিই প্রথম ভোটার, যা মোট ভোটারের ১.৯ শতাংশ।
২০১৯ সালে প্রথম ভোটারের সংখ্যা ছিল ১.৫ কোটি, যার মধ্যে ছিল ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়সী যুবক-যুবতীরা। চলতি বছরে সেই সংখ্যাটা শতকরা ২০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
নারী ভোটারদের নাম নথিভুক্ত করার ঘটনাও উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। সেই সাথে লিঙ্গ অনুপাতেও ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে সংখ্যাটা বেড়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৯২৮ জন (প্রতি ১০০০ পুরুষ) থেকে বেড়ে এবছর হয়েছে ৯৪৮। দেশের মোট ভোটারের মধ্যে ৪৯.৭ কোটি ভোটার পুরুষ, নারী ভোটারের সংখ্যা ৪৭.১ কোটি। ২০১৯ সালে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ছিল ৪৬.৫ কোটি, নারী ভোটার ছিল ৪৩.১ কোটি।
গোটা দেশের ৯৬.৮ কোটি নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যাও বেড়েছে। গত পাঁচ বছরে সংখ্যাটা ৩৯,৬৮৩ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৮ হাজার।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রথম পর্ব হবে ১৯ এপ্রিল। এই দফায় সবচেয়ে বেশি দেশের ২১ রাজ্য, ১০২টি নির্বাচনী এলাকা কভার করবে। শেষবার ২০১৯ সালেও সাতটি ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং প্রথম ধাপে বেশিরভাগ রাজ্য অর্থাৎ ২০ রাজ্যে ভোট নেওয়া হয়, ওই বছরে তৃতীয় ধাপে সবচেয়ে বেশি ১১৫টি আসনে একসঙ্গে ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের (পোলিং বুথ) সংখ্যাও বানানো হয়েছে। ১০.৩৫ লাখ থেকে বেড়ে হয়েছে ১০.৫ লাখ। ভোটের কাজ তদারকি করতে ভোট কর্মী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সংখ্যাও বাড়িয়ে করা হয়েছে ১.৫ কোটি।
লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির পরিমাণও পুরনো রেকর্ডকে ছাপিয়ে গেছে।
২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল সময়সীমার মধ্যে আনুমানিক ১২০০ কোটি রূপি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সেই বাজেয়াপ্ত রূপির পরিমাণ ৩৪৭৬ কোটি রূপি।