লন্ডনে ইরানি দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ চলাকালীন সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত পাঁচজন পুলিশ কর্মী গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সোমবার ব্রিটিশ পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের।
ইরানে পুলিশি হেফাজতে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে সপ্তাহ জুড়েই দূতাবাসের বাইরে অনেক মানুষ জড়ো হয়েছিল। মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, বেশিরভাগ বিক্ষোভকারী শান্তিপূর্ণ ভাবে বিক্ষোভ করছিল। কিন্তু রবিবার একটি দল পুলিশ কর্মী এবং অন্যান্য বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করে।
পুলিশ বলেছে, দূতাবাস ভবনের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের ওপর বোতলসহ অন্যান্য জিনিস নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীরা। তারা নিকটবর্তী ইসলামিক সেন্টার অব ইংল্যান্ডকেও লক্ষ্য করেছিল। এ ঘটনায় হাড় ভাঙাসহ আহত অবস্থায় অন্তত পাঁচজন পুলিশ কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হিজাব না পরার অভিযোগে ইরানে আমিনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং পুলিশি হেফাজতে ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান। ইরানি পুলিশের দাবি, তিনি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এবং তার সাথে কোনো সহিংস আচরণ করা হয়নি। তবে তার পরিবার আমিনিকে অত্যাচারের সন্দেহ প্রকাশ করেছে। পরে ইরান জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হলে তা লন্ডনেও ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রবিবার ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। তাদের অভিযোগ লন্ডন ভিত্তিক ফার্সি ভাষার গণমাধ্যমে বিক্ষোভ সংক্রান্ত প্রতিকূল খবর প্রকাশ করা হয়েছে। রাষ্ট্রদূতকে এর ব্যাখ্যা দিতে হবে।