এর ব্যাপ্তি হবে নরওয়ে থেকে শুরু করে সুদূর পোল্যান্ড পর্যন্ত। লিথুয়ানিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাগনে বিলোটাইট বার্তা সংস্থা বিএনএসকে বলেন, ‘আমাদের সীমান্ত রক্ষার জন্য ড্রোন এবং অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারই এই উদ্যোগের লক্ষ্য।’
সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সামরিক কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রতিরক্ষা খাতে এ ধরনের বিনিয়োগের মূল কারণ হচ্ছে, রাশিয়া কর্তৃক ইউক্রেন আক্রমণ এবং চলমান যুদ্ধ। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, সাম্প্রতিককালে ন্যাটোর সীমান্তবর্তী দেশগুলোর বিরুদ্ধে রাশিয়ার ‘উসকানিমূলক কার্যক্রম’ দিন দিন বাড়ছে।
ড্রোন প্রাচীর নির্মাণে বিনিয়োগের আওতায় সীমান্তে সেনা উপস্থিতি বৃদ্ধির সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তির নজরদারির সম্মিলন ঘটানো হবে। তবে কবে নাগাদ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হবে, সে ব্যাপারে লিথুয়ানিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুস্পষ্ট করে কিছু বলেননি।
ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তা
যুক্তরাষ্ট্র গত শুক্রবার ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা হিসেবে নতুন চালান পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। ২৭.৫ কোটি ডলারের এই মার্কিন সামরিক সহায়তার মধ্যে গোলাবারুদ, ক্ষেপণাস্ত্র ও মাইনের মতো অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে।
ইউক্রেনের খারকিভে রাশিয়ার চলমান হামলার মধ্যে দেশটিতে সামরিক সহায়তা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ১০ মে থেকে খারকিভে নতুন করে যুদ্ধ বেঁধেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, ইউক্রেনের সাহসী জনগণকে তাদের দেশ রক্ষার জন্য সমর্থন দিতে যুক্তরাষ্ট্র আজ (শুক্রবার) সে দেশের জন্য অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের বড় ধরনের চালান পাঠানোর ঘোষণা দিচ্ছে। সম্প্রতি ইউক্রেনীয় বাহিনী যুদ্ধের ময়দানে গোলাবারুদ এবং তহবিল ঘাটতিতে পড়ে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়।