কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ ঘিরে সোমবারের পর মঙ্গলবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আসাম। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) পাঁচ হাজার কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক রাজ্যটির রাজধানীতে প্রবেশের চেষ্টা করতেই পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। আর তার পরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ ও কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
গত ১৪ জানুয়ারি মণিপুর থেকে এই ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ শুরু করেন রাহুল। তার পর সেই র্যালি নাগাল্যান্ড হয়ে আসামে ঢুকেছে ১৮ জানুয়ারি। কিন্তু বিজেপিশাসিত এই রাজ্যে ঢুকতেই কংগ্রেসের এই ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ বাধার মুখে পড়েছে।
সোমবারই একটি মন্দিরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে দাবি করেছিলেন রাহুল। বটদ্রব সত্র মন্দিরে ঢুকতে গেলে কর্তৃপক্ষ তাকে বাধা দেন। আর তার পরই নওগাঁওতে অবস্থানে বসেন কংগ্রেস নেতা।
সেই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আবারও বাধার মুখে পড়তে হয়েছে রাহুলের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’কে। মঙ্গলবার এই র্যালি গুয়াহাটিতে ঢুকতে পারে তেমনই খবর ছিল রাজ্য প্রশাসনের কাছে। তাই আগেভাগেই গুয়াহাটির গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথগুলো নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়।
সোমবার সকালে পাঁচ হাজারেরও বেশি কর্মী-সমর্থক নিয়ে যখন সেই র্যালি গুয়াহাটিতে ঢোকার চেষ্টা করে, তখনই সেটিকে আটকে দেয় পুলিশ।
রাজ্য প্রশাসনের দাবি, রাজধানীর ভেতরে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোতে এই র্যালির অনুমতি দেওয়া যাবে না। ২৭ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে নমনি আসামের দিকে এই র্যালি নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।