রাস্তায় যত্রতত্র জনসাধারণের প্রস্রাবের অভ্যাসটিকে বদলাতে লন্ডনের সোহো শহর কর্তৃপক্ষ এক অভিনব পন্থা নিয়েছে। নিউটনের ‘থার্ড ল’ -এর মতো এবার ঢিল মারলে খেতে হবে পাটকেল। কর্তৃপক্ষ লোকালয়ের দেয়ালগুলিতে তথাকথিত প্রস্রাব-বিরোধী পেইন্ট প্রয়োগ করছে। বর্ণহীন এই রং একেবারে স্বচ্ছ। তাই দেওয়ালে লাগালেও বোঝার উপায় নেই। এটি জল-প্রতিরোধী। কাজেই এর উপর মূত্র ত্যাগ করলে তা আপনা থেকেই ছিটকে এসে পড়বে উলটোদিকে। এর নাম ‘অ্যান্টি পি-পেইন্ট’।
ওয়েস্টমিনস্টার সিটি কাউন্সিলের মতে, সোহোর প্রায় এক ডজন ক্লাব, রেস্তোরাঁ, থিয়েটার এবং অন্যান্য বিনোদনের স্থানগুলির পাশাপাশি বাসস্থানগুলিতেও এই বিশেষ স্প্রে-অন রাসায়নিক পেইন্ট করা হচ্ছে। সোহো শহরের বেশ কিছু বাসিন্দা পড়েছিলেন বেজায় সমস্যায়। শহরে প্রায় ৩ হাজার মানুষের বাস।
নিউজ এজেন্সি এএফপি স্থানীয় কাউন্সিলর আইচা লেসের সাথে কথা বলেছিল যিনি একটি জলের বোতল দিয়ে অদৃশ্য পেইন্টের স্প্ল্যাশ ব্যাক ক্ষমতা প্রদর্শন করেছিলেন এবং বলেছিলেন, “এটি খুব কার্যকর’। ‘মিসেস লেস জানান -”রোজ সকালে বাড়ির সদর দরজা খোলার পর মূত্রের দুর্গন্ধ নাকে ভেসে আসা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। আমরা এখানকার বাসিন্দারা বিরক্ত হয়ে উঠেছিলাম। আমরা একটি পরিচ্ছন্ন, পরিবেশ চাই বেঁচে থাকার জন্য।”
ওয়েস্টমিনস্টার সিটি কাউন্সিল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, “কোভিড -১৯ বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর থেকে মধ্য লন্ডনে জনসাধারণের প্রস্রাবের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য কাউন্সিলের খরচ হচ্ছে বছরে প্রায় ৯৫০ পাউন্ড। জার্মানির দেখে তাই সোহো শহরের কর্তৃপক্ষ প্রস্রাব-বিরোধী পেইন্টের ব্যবহার বাড়াচ্ছে।