প্রায় চার মাস ধরে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে সংঘাত চলছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। এদিকে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন যে, ইউক্রেনের ১৫২টি সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক স্থান সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, জাদুঘর, স্মৃতিস্তম্ভ, গীর্জা এবং অন্যান্য ধর্মীয় ভবন, গ্রন্থাগার ধ্বংস হয়ে গেছে। ইউনেস্কো বলছে, ইউক্রেন কর্তৃপক্ষকে সহায়তার প্রচেষ্টা অংশ হিসেবেই ক্ষয়ক্ষতির নথিপত্র তৈরি করা হচ্ছে।
ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অদ্রে আজুলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক স্থানে বারবার এই হামলা বন্ধ করতে হবে। যে কোনো অবস্থাতেই কোনো সাংস্কৃতিক বা ঐতিহাসিক স্থানকে লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়।
ইউনেস্কো বলছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন স্থানে বহু ঐতিহাসিক স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে তিন-চতুর্থাংশই রাজধানী কিয়েভ, পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ এবং দোনেৎস্কের।
এদিকে ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলে রাশিয়ার হামলায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছে। আঞ্চলিক গভর্নর জানিয়েছে, গত মঙ্গল ও বুধবার খারকিভে হামলা চালানো হয়।
খারকিভ অঞ্চলের গভর্নর ওলেহ সিনেহুবোভ জানিয়েছেন, ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শহরের আবাসিক জেলাগুলো এবং বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার কামান হামলা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, রুশ দখলদাররা বেসামরিক লোকদের ওপর হামলা চালানোর ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দিচ্ছে না। এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ওলেকসি অ্যারেসতোভিখ এক ভিডিও বার্তায় বলেন, জনগণের মনে আতঙ্ক ছড়াতে এবং ইউক্রেনকে সৈন্য সরিয়ে নিতে বাধ্য করতেই খারকিভে হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী।