হত্যা, গ্রেপ্তার বা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হয়নি, রাশিয়ার এমন শেষ বড় নেতা ছিলেন তিনি। এবার তাকেও আটক করা হলো। বিশিষ্ট বিরোধী রাজনীতিক ইয়েভগেনি রোইজমানকে আটক করা হলো আজ বুধবার। এদিন সকালে পুলিশ তাকে ইয়েকাতেরিনবুর্গ শহরের ফ্ল্যাট থেকে ধরে নিয়ে যায়।
একজন অপেক্ষমাণ সাংবাদিক রোইজমানকে জিজ্ঞেস করেন, কেন তাকে আটক করা হচ্ছে? ৫৯ বছর বয়সী রোইজম্যান জবাবে বলেন, ‘শুধু একটি কথার জন্য। তা হচ্ছে : ইউক্রেনে হামলা। ’ রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীকে অসম্মান করার অভিযোগ এনে ইয়েভগেনি রোইজমানের বিরুদ্ধে একটি গুরুতর ফৌজদারি মামলা দেওয়া হয়েছে।
এটি রাশিয়ায় যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত একটি সাধারণ অভিযোগ। ‘যুদ্ধ’ বা ‘হামলা’ শব্দ ব্যবহার করলেও পুলিশের লোক হাজির হতে পারে। রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসনকে সরকারিভাবে ‘বিশেষ অভিযান’ আখ্যা দিয়েছে।
দোষী সাব্যস্ত হলে ইয়েভগেনি রোইজমানের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।
পুলিশ এই বিরোধী নেতার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায়। তার আর্থিক বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া হয়। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তদন্তের সময় তাকে মস্কোতে রাখা হবে।
ক্রেমলিনপন্থী মিডিয়া খবর দিয়েছে, পুলিশ রোইজমানের কাছ থেকে বিদেশি রাজনীতিকদের ‘ভিজিটিং কার্ড’ জব্দ করেছে।