ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য উত্তর কোরিয়া প্রায় সাত হাজার কনটেইনার অস্ত্র রাশিয়ায় পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিন ওন-সিক।
সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এই দুই ঐতিহাসিক মিত্র দেশ বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে-ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য মস্কো এবং পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার জন্য পিয়ংইয়ং। দুই দেশের নেতা ভ্লাদিমির পুতিন এবং কিম জং উন সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার সুদূর পূর্বে একটি শীর্ষ বৈঠক করেছিলেন।
পরে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে, পিয়ংইয়ং মস্কোকে অস্ত্র সরবরাহ করা শুরু করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিন ওন-সিক বলেছেন, ‘উত্তর থেকে রাশিয়া পর্যন্ত কনটেইনারের সংখ্যা ৩০০ বেড়ে এখন পর্যন্ত মোট প্রায় সাত হাজার কনটেইনারে পৌঁছেছে।’
এ সংখ্যাটি জুলাই থেকে পাঠানো চালানের উল্লেখ করে শিন বলেছেন, ‘কিছু সামুদ্রিক রুট এখন স্থগিত করা হয়েছে, কিছু রাশিয়ায় রেলের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ২০২৩ সালের অক্টোবরে বলেছিল, পিয়ংইয়ং থেকে মস্কোতে অস্ত্রের চালান যাচ্ছে। তারা অনুমান করেছিল, উত্তর কোরিয়া সেই সময় রাশিয়াকে সামরিক সরঞ্জাম ও যুদ্ধাস্ত্রের এক হাজারেরও বেশি কনটেইনার সরবরাহ করেছিল। সিউল পরের মাসে পিয়ংইয়ংকে অভিযুক্ত করে, রাশিয়ায় ১০ লাখেরও বেশি রাউন্ড গোলা পাঠানো হয়েছে। এর বিনিময়ে উত্তর কোরিয়া সামরিক পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য মস্কোর কাছ থেকে প্রযুক্তিগত পরামর্শ পেয়েছে বলেও জানায় তারা।
সেপ্টেম্বরে রাশিয়ায় সফরের সময় কিম জং উন ঘোষণা করেছিলেন, মস্কোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক তাঁর দেশের ‘এক নম্বর অগ্রাধিকার’ ছিল। পিয়ংইয়ং ইউক্রেনে মস্কোর আক্রমণের প্রবল সমর্থকও হয়ে উঠেছে।
ওয়াশিংটন এবং বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, রাশিয়াকে অস্ত্র দেওয়ার বিনিময়ে পিয়ংইয়ং স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ও তাদের সোভিয়েত যুগের সামরিক সরঞ্জাম উন্নত করার মতো সামরিক সহায়তা চাইছিল।
এদিকে, উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সোমবার বলেছে, কিম রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে পঞ্চম মেয়াদে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়ে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন। সে বার্তায় বলা হয়েছে, ‘আমি দৃঢ়ভাবে আপনার সঙ্গে হাত মেলাব এবং উত্তর কোরিয়া-রাশিয়া বন্ধুত্বের একটি নতুন যুগ নিয়ে আসব।