গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরের একটি বাড়িতে বিমান হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা নিউজ এজেন্স এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। রাফা শহরের পূর্বে অবস্থিত জালাতা এলাকায় ওই হামলা চালানো হয়েছে। আহতদের আবু ইউসুফ আল-নাজ্জার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ওয়াফা আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী মধ্য রাফার ইয়াবনা ক্যাম্পের একটি বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে একটি গাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আহত ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গতকাল রাতে একটি গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে আরও একজন নিহত এবং কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।
এর আগে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি চেক পয়েন্টের কাছে গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে। এতে তিনজন নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের প্রধান এলিন বিন জানান, বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) হামলায় আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থান মারাত্মক।
ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, পশ্চিম তীরের পূর্ব জেরুজালেমের কাছে কেন্দ্রীয় মহাসড়কে ধীর গতির ট্রাফিকের সুযোগ নিয়েছে হামলাকারীরা।
একজন মুখপাত্র বিস্তারিত কোনো তথ্য না জানিয়ে বলেছেন, হামলাকারীরা ফিলিস্তিনি। তবে পাল্টা হামলায় দুই বন্দুকধারীও নিহত হয়েছেন।
এদিকে গাজা এখন মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান। সেখানে মানবিক কার্যক্রম পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্যালিস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি খান ইউনিসের আল-আমাল হাসপাতালে ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে সতর্ক করেছে। কারণ গত এক মাসের বেশি সময় ধরে হাসপাতালটি অবরুদ্ধ করে রেখেছে দখলদার বাহিনী।