রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা যাওয়ার আগে প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী মেগান মার্কেলকে বালমোরাল প্রাসাদে আসতে নিষেধ করেছিলেন রাজা চার্লস। জানা গেছে, রানীর শেষ সময়ে তার পাশে ছিলেন পরিবারের একেবারে ঘনিষ্ঠ সদস্যরা। তবে এই শোকের মধ্যেও বৃহস্পতিবার একটি পারিবারিক ‘ড্রামা’ দেখা যায় রাজপরিবারের মধ্যে।
বৃটিশ গণমাধ্যম দ্য সান জানিয়েছে, রানীর মৃত্যুর সময় ভাগ্যক্রমে বৃটেনেই ছিলেন প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান। তারা এসময় ফ্রোগমোর কটেজে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু রাজা চার্লস তার ছেলে হ্যারিকে ফোন করে মেগানকে বালমোরালে না আনার নির্দেশ দেন। তিনি হ্যারিকে বলেন, এমন পারিবারিক দুঃখের সময় মেগানকে আনা সঠিক হবে না। শুধুমাত্র রানীর সবথেকে কাছের মানুষেরাই এসময় তার পাশে থাকুক তাই চান তিনি। চার্লস অত্যন্ত স্পষ্টভাবেই হ্যারিকে জানান যে, মেগান যদি আসে তাহলে তাকে স্বাগত জানানো হবে না।
এদিকে আরেক গণমাধ্যম টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, রানী মৃত্যুশয্যায় থাকার পরেও প্রথমে হ্যারিকে ডাকা হয়নি। অথচ সে সময় প্রিন্স উইলিয়াম বালমোরাল প্রাসাদে অবস্থান করছিলেন। তবে আসলে মেগানের বিষয়ে রাজপরিবার থেকে কি নির্দেশ ছিল তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
তার অন্য ছেলেরা অ্যান্ড্রু এবং এডওয়ার্ড যত দ্রুত সম্ভব বালমোরালে যাওয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু তাও দেরি হয়ে যায়। এডওয়ার্ডের সঙ্গে তার স্ত্রী সোফি ছিলেন। তবে সোফিকে রানী অত্যন্ত পছন্দ করতেন এবং নিজের মেয়ের মতো দেখতেন। ধারনা করা হচ্ছে, রানী নিজেই হয়তো সোফিকে আসার কথা বলেছিলেন।
শোক অনেক সময়েই পরিবারের সদস্যদের কাছে নিয়ে আসে। রানী এলিজাবেথের মৃত্যুর পর প্রিন্স হ্যারি এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের ক্ষেত্রে সেটি সত্যি হবে কিনা তা এখনও দেখা বাকি।