কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রুশ প্রকৌশলীরা একটি আকাশযান তৈরি করেছেন, যা কনভার্টিপ্লেনের (যেসব বিমানে উড়োজাহাজের মতো করে অবতরণ করে) মতো করে কাজ করে। এতে রাতে দেখার উপযোগী ক্যামেরা সজ্জিত রয়েছে। তেল-গ্যাসক্ষেত্রে এটি নজরদারি করতে পারবে। অর্থাৎ দিন ও রাতে সমানতালে কাজ পর্যবেক্ষণ করতে পারবে এসব ড্রোনসদৃশ আকাশযান।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের জ্বালানি ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দেখা যাচ্ছে। ইউরোপে মস্কোর গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ে গত বছর বেশ কয়েকবার নাশকতার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে দেশটির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ চলে। এসব প্রেক্ষাপটের মধ্যে রাশিয়া নতুন প্রযুক্তি আনার ঘোষণা দিল।
রুশ কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব ড্রোন ২০০ কিলোমিটার উচ্চতায় উড়তে পারবে এবং এদের গতি হবে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের মতো।
ক্লেভারকপ্টারের প্রধান সের্গেই গুসেভ বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা এয়ারমেডিক মিনি ড্রোনের যন্ত্রাংশ সংযোজনের কাজ শেষ করেছি এবং পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এ কাজ শুরু হবে। স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও রাতে দেখার উপযোগী প্রযুক্তির দ্বারা সজ্জিত এ ড্রোন নজরদারির কাজ করবে।’