মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় ৭০ জন নিহত হয়েছে। গত রবিবার ও সোমবার পাকতাও ও মংডু শহরে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি পরিচালিত বন্দিশিবিরে এই হামলা চালানো হয়।
আরাকান আর্মি বলছে, বাংলাদেশ সীমান্তের পার্শ্ববর্তী মংডু শহরে মায়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদর দপ্তরে গত সোমবার সকালে হামলা চালায় জান্তা বাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান। গত জুলাইয়ে বিজিপির এই স্থাপনাটি দখলে নিয়েছিল আরাকান আর্মি।
স্থাপনাটি বন্দিশিবির হিসেবে ব্যবহার করত আরাকান আর্মি। মংডুতে আরাকান আর্মির হাতে আটক জান্তা বাহিনী, সামরিক তথ্যদাতা, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সদস্যদের এই বন্দিশিবিরে রাখা হতো। রাখানই রাজ্যে জান্তার বাহিনী, আরসা ও আরএসও সম্মিলিতভাবে লড়াই করছে।
আরাকান আর্মি জানিয়েছে, বিমান হামলায় অর্ধশতাধিক বন্দি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ছাড়া গত রবিবার রাতে মংডু শহরে জাতিসংঘের একটি ভবন এবং পাকতাও শহরে আরাকান আর্মির একটি বন্দিশিবিরে বিমান হামলা চালায় জান্তা বাহিনী। এ ছাড়া আরাকান আর্মির হাতে আটকদের যে ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হতো, সেখানেও হামলা হয়েছে। এতে জান্তা বাহিনীর সদস্য, চিকিৎসাকর্মী ও বেসামরিক নাগরিকসহ ১৭ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার রাখাইনের রাজধানী সিতওয়ের জান্তা বাহিনীর ঘাঁটি থেকে পাকতাও শহরে বিমান হামলা চালানো হয়। গত সপ্তাহে সামরিক জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লেইং বিদ্রোহীদের পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর থেকে দেশটিতে বিমান হামলার তীব্রতা বেড়েছে।