বাড়ির চত্বরে হাঁটার সময় পড়ে গিয়ে কপাল ফেটে গেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
হাসপাতালের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কপালে সেলাই করা হবে। তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডলেও মমতার কপাল ফেটে যাওয়ার ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেস জানায়, বৃহস্পতিবার কালীঘাটের বাসভবন চত্বরে হাঁটছিলেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়। তখন কোনোভাবে পড়ে যান তিনি। সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে যাওয়ায় কপালে চোট পান। চোটপ্রাপ্ত জায়গা থেকে বের হয় রক্তও।
এরপর মমতাকে উদ্ধার করে বাড়ির ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখান থেকে দ্রুতই এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে খবর, মমতার ক্ষত বেশ গভীর। তার সিটি স্ক্যান করানো হবে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হচ্ছে। হাসপাতালটির চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি।
তৃণমূল প্রধানের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে টুইট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’
এদিকে, মমতার জখম হওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই দলীয় বৈঠক থামিয়ে দেন ঘাটালের বিদায়ী তৃণমূল সংসদ সদস্য অভিনেতা দীপক অধিকারী (দেব)। এর পরেই ঘাটালের বিশালাক্ষী মন্দিরে পূজা দিতে যান তিনি।
মমতার বাড়িতে যখন এ ঘটনা ঘটে তখন সেখানে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও মমতার ভাতিজা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার গাড়িতে করেই মমতাকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিষেকের পাশাপাশি এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েছেন লতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মালা রায়, সুব্রত বক্সী, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। আরও গিয়েছেন মমতার ছোট ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বাবুনের মন্তব্য নিয়ে গতকাল বুধবারই সরগরম হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। লোকসভা ভোটে হাওড়া দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে তাকে প্রার্থী না করা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বাবুন। তা নিয়ে শোরগোল পড়তেই কড়া ভাষায় তার নিন্দা করেছিলেন মমতা। ছোট ভাইকে ধমক দিয়ে তার সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার কথাও ঘোষণা করেছিলেন তিনি।