দাবিমতো পণের ২৫ লাখ রুপি দিতে পারেননি বাপের বাড়ির লোকেরা। সেই ‘অপরাধে’ বধূকে নির্যাতনের পর এইচআইভি সংক্রমিত ইনজেকশন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের সাহারনপুরে। আদালতের নির্দেশে সেই নারীর শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। খবর আনন্দবাজারের।
সাহারনপুরের পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সাগর জৈন বলেন, আক্রান্ত নারী সাহারনপুরের বাসিন্দা। আমরা তার স্বামী, দেওর, ননদ এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, বধূ নির্যাতন, ইচ্ছাকৃত ভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা, বিষপ্রয়োগ করে খুনের চেষ্টাসহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছি। শুধু তাই নয়, আলাদা ভাবে পণ সংক্রান্ত মামলাও দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। পুঙ্খানুপঙ্খ ভাবে তদন্ত করা হবে। ঘটনাটি গত বছরের মে মাসের। নির্যাতিতার বাবা আদালতে জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে ফেব্রুয়ারিতে ৪৫ লাখ রুপি ব্যয় করে কন্যার বিয়ে দিয়েছিলেন। জামাইকে একটি এসইউভি, ১৫ লাখ রুপি নগদও দিয়েছিলেন।
অভিযোগ, তারপরে আরও ১০ লাখ রুপি দাবি করে তার কন্যার ওপর অকথ্য নির্যাতন শুরু করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এক মাসের মধ্যে নারীকে বাড়ি থেকে বার করে দেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তার পর পঞ্চায়েতের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টা হয়। আবার তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যান তার স্বামী।
নারীর বাবার অভিযোগ, তার পর থেকে অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে গিয়েছিল। জোর করে তার কন্যাকে এইচআইভি সংক্রমিত সুচ ব্যবহার করে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তার পর থেকেই নারীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর পর জানা যায় তার এইচআইভি পজিটিভ। তার স্বামীরও পরীক্ষা করা হলে দেখা যায় তিনি এইচআইভি নেগেটিভ।
ওই ভুক্তভোগী নারীর পরিবারের অভিযোগ, থানার দ্বারস্থ হলেও অভিযোগ নিতে চায়নি তারা। তার পর শেষে আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়।