ভারতের উত্তরপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচারণা জমে উঠেছে। উত্তরপ্রদেশে ভোটপ্রচার নেমেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
ভোট প্রচারে নেমে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, ‘আমার কাছে বোন আছে’, এই বোন তার সহোদরা নন, এই বোন হলেন উত্তরপ্রদেশের নারীরা, যাদের ভরসায় প্রিয়াঙ্কা এবার কংগ্রেসের হাল ফেরাতে চাইছেন। গতবার সাতটি আসনে জেতা কংগ্রেসকে উজ্জীবাত করতে চাইছেন তিনি।
প্রচারে নেমে বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন প্রিয়াঙ্কা। সোজা চলে যচ্ছেন অন্দরমহলে মা-বোনেদের কাছে। এমনিতেই প্রিয়াঙ্কার পাশের বাড়ির মেয়ের ভাবমূর্তি আছে। ফলে তিনি অন্দরমহলে মা-বোনেদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন সহজেই।
সম্ভবত এই প্রথম কংগ্রেস কোনো বড় রাজ্যে ৪০ শতাংশ নারী প্রার্থী দিয়েছে। আর তাদের মধ্যে অনেকেই লড়াকু নারী। উন্নাওয়ের ধর্ষণের শিকার এর মা আছেন, আশা কর্মী আছেন, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রতিবাদ করে জেলে যাওয়া অভিনেত্রী আছেন, আর আছেন লড়াকু মেয়েরা, যাদের প্রিয়াঙ্কা ও তার সঙ্গীরা বাছাই করেছেন।
ভারতের অধিকাংশ রাজ্যেই পুরুষ ও নারী ভোটারদের সংখ্যা প্রায় সমান। উত্তরপ্রদেশে গত কয়েকটি নির্বাচনের দিকে তাকালে দেখা যাবে, সেখানে নারীদের ভোট দেয়ার প্রবণতা বেড়েছে। গত বিধানসভায় মোট নারী ভোটদাতার ৬৩ শতাংশ ভোট দিয়েছিলেন। ফলে উত্তরপ্রদেশে মেয়েদের ভোটের গুরুত্ব বাড়ছে। এই মেয়েদের পাশে পেতেই প্রিয়াঙ্কা স্লোগান দিয়েছেন, ‘ম্যায় লড়কি হুঁ, ম্যায় লড় সকতি হুঁ’। মানে ‘আমি মেয়ে, আমি লড়তে পারি’।
গতবার উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস পেয়েছিল সাতটি আসন। প্রিয়াঙ্কা তার থেকে কতটা উন্নতি করতে পারবেন? তিনি মেয়েদের কতটা পাশে পাবেন?
উত্তরপ্রদেশ বিশেষজ্ঞ প্রবীণ সাংবাদিক শরদ গুপ্তার মতে, ”কংগ্রেস খুব বেশি হলে ১০-১২টা আসন পাবে। তার বেশি নয়। তবে লক্ষ্য থাকবে, কংগ্রেসের ভোটপ্রাপ্তির হার কতটা বাড়ে তার উপর।”
শরদের প্রশ্ন, ”উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস ৪০ শতাংশ নারী প্রার্থী দিলেও গোয়া, পাঞ্জাব, মণিপুর, উত্তরাখণ্ডে কেন তারা মাত্র ১০ শতাংশ মেয়ে প্রার্থী দাঁড় করালো? কেন তারা ওই রাজ্যেও ৪০ শতাংশ মেয়েকে প্রার্থী করলো না?”
রাজ্যটিতে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত ভোট হবে। ভোটের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ মার্চ।