অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির লিনাক্রে কলেজের নাম বদলে ফেলা হবে। ভিয়েতনামের সবচেয়ে ধনী নারী নুয়েন থি ফুওং থাও এর নামে এই কলেজের নাম করা হবে।
কিন্তু কী কারণে এই নারীর নামে কলেজের নামকরণ করা হচ্ছে। কারণ হলো, সম্প্রতি এই কলেজে ২১ কোটি ১০ লাখ ডলারের একটি অনুদান দেয় থাও-এর হোল্ডিং কোম্পানি সোভিকো। অনুদানের ফলেই নাম পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরিবর্তন করে লিনাক্রে কলেজের নাম রাখা হবে থাও কলেজ। ফোর্বসের মতে, থাও এর মোট সম্পদের পরিমাণ ২.৭ বিলিয়ন ডলার। সোভিকো হোল্ডিংয়ের চেয়ারপারসন হওয়ার পাশাপাশি এইচডি ব্যাঙ্কও রয়েছে তার অধীনে। ২০১৯ এ বিতর্কিত ‘বিকিনি এয়ারলাইন’ ভিয়েতজেট প্রতিষ্ঠার পর সম্পূর্ণ নিজের প্রচেষ্টায় ভিয়েতনামের প্রথম নারী বিলিয়নিয়ার হয়ে ওঠেন থাও। ভিয়েতনামের মতো একটি কমিউনিস্ট দেশে বাজেট ভ্রমণের জন্য পরিচিত তার এয়ারলাইন। এর আগে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এয়ারলাইনের ওপর নির্ভর করতে হতো ভিয়েতনামকে।
লিনাক্রে কলেজে দেওয়া তার অনুদান ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই এ পদক্ষেপকে দাতব্য হিসেবে প্রশংসা করেছেন। আবার সমালোচনাও হচ্ছে।
লিনাক্রে কলেজের সাবেক ছাত্রদের মধ্যেও অনেকে এ বিষয়ে সমালোচনা করেন। কলেজের সাবেক ছাত্র এবং বর্তমানে কানাডার এডমন্টনের ম্যাকইওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট ক্রেইগ মঙ্ক বলেছেন, কলেজের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন না তিনি। ১৪০০ শতকের চিকিৎসক এবং পুরোহিত থমাস লিনাক্রের নামে নামকরণ করা হয় ৫৯ বছরের পুরনো এই কলেজের।
এ বিষয়ে থাও বলেন, ‘আমি অনেকবার অক্সফোর্ড পরিদর্শন করেছি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ দেখে আমি মুগ্ধ। আমি বিশ্বাস করি- শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং গবেষণার মাধ্যমে মানবতার জন্য আমার দীর্ঘ দিনের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়িত করার সঠিক জায়গা অক্সফোর্ড।’
অপরদিকে থাও নিজের দেশে মিলিয়ন ডলার উপার্জন করে কেনই বা যুক্তরাজ্যের কলেজকে অনুদান দিলেন, এ নিয়েও সমালোচনা করেছেন অনেকে।
একাডেমি অব পলিসি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পাবলিক পলিসির প্রাক্তন ডিন ফাম কুই থো বলেন, ‘ভিয়েতনাম একটি দরিদ্র দেশ। আমাদের অর্থের প্রয়োজন।’
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন