বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়া ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা অর্জন করা ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাদের দাবি, যেকোনও সময় আগ্রাসন শুরু করতে পারে রাশিয়া।
এরই মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কমপক্ষে ১২টি দেশ নিজেদের নাগরিকদের অবিলম্বে ইউক্রেন ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে। দেশটিতে বিমান পরিবহন সেবাও বন্ধ করে দিয়েছে কোনও কোনও সংস্থা।
এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো দেশগুলো বলে দিয়েছে রাশিয়ার সাথে লড়াই করতে ইউক্রেনে তারা সৈন্য পাঠাবে না। কিন্তু একইসাথে তারা নানারকম সাহায্যের অঙ্গীকারও করেছে। কিন্তু যুদ্ধ বেঁধে গেলে ইউক্রেনকে কতটা সহায়তা করবে পশ্চিমারা।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন বলেছে, সাড়ে আট হাজার সৈন্যকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে এবং জার্মানি, রোমানিয়া এবং পোল্যান্ডে অতিরিক্ত তিন হাজার সৈন্য পাঠানো হচ্ছে।
তবে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে পশ্চিমা বিশ্বের হাতে প্রধান অস্ত্র দুটো- রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং ইউক্রেনকে অস্ত্র এবং সামরিক উপদেষ্টা পাঠিয়ে সাহায্য করা।
পোল্যান্ড পর্যবেক্ষণকারী ড্রোন, মর্টার বোমা এবং বিমান প্রতিরোধী ব্যবস্থা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রিটেন, চেক রিপাবলিক এবং বাল্টিক দেশগুলো অস্ত্র, প্রশিক্ষণ, পরামর্শ এবং সরঞ্জাম দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।
তবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন যুদ্ধ শুরু করলে রাশিয়ার ওপর এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে যা “আগে কখনও দেখেননি তিনি (পুতিন)।”