যুদ্ধের জন্য নিজের সেনাবাহিনীকে জোরদার প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। বুধবার (৬ মার্চ) একটি সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শনের পর এই নির্দেশ দেন তিনি।
এর আগে সিউল এবং ওয়াশিংটনকে তাদের ‘বেপরোয়া’ এবং ‘উন্মত্ত মহড়া’ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যম দ্য কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) এর বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার পশ্চিমে অবস্থিত একটি বড় সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শন করার পর যুদ্ধের জন্য সেনাবাহিনীকে জোরদার প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন কিম জং উন। তবে, ওইদিন তিনি কোন সামরিক ঘাঁটিতে গিয়েছিলেন তা প্রকাশ করেনি কেসিএনএ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী কিম জং উন বলেছেন, সামরিক বাহিনীকে অবশ্যই বিরাজমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে যুদ্ধের প্রস্তুতি জোরদার করতে হবে সূচনা করতে হবে। নিখুঁত যুদ্ধ প্রস্তুতির জন্য আমাদের সেনাবাহিনীর উচিত প্রকৃত যুদ্ধের আদলে মহড়া চালিয়ে যাওয়া।
প্রসঙ্গত, বৃহদাকারের বার্ষিক ফ্রিডম শিল্ড সামরিক মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়াও। এই মহড়ায় মিসাইল ইন্টারসেপশন ড্রিল, বোমা বিস্ফোরণ, বিমান হামলা এবং লাইভ-ফায়ারিংসহ ৪৮টি ফিল্ড মহড়া অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া যৌথ এ মহড়ায় গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ সৈন্য অংশগ্রহণ করেছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় ওইদিন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে তাদের এই কর্মকাণ্ডের জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে।
মূলত, দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়াগুলোর নিন্দা জানিয়ে আসছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির দাবি, প্রতিপক্ষের এসব মহড়া আসলে ভবিষ্যতের সম্ভাব্য কোনও হামলার মহড়া।