ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী যুদ্ধবিমানসহ ক্ষতিগ্রস্ত বিমান উড্ডয়নের জন্য মেরামতের যন্ত্রাংশ সহায়তা পেয়েছে। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক দপ্তর পেন্টাগন এই তথ্য জানিয়েছে।
রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রায় দুই মাস পরও বিমান বাহিনীকে কেবল সক্রিয় নয়, বিমান মেরামতের সক্ষমতা দেখিয়ে সামরিক বিশেষজ্ঞদের অবাক করে দিয়েছে ইউক্রেন।
পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি ইউক্রেনেকে কোন দেশগুলো বিমান সরবরাহ করেছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেননি। তবে ইউক্রেন নতুন বিমান পেয়েছে সেই তথ্য স্বীকার করে বলেছেন, ইউক্রেনের কাছে দুই সপ্তাহ আগের চেয়ে বেশি পরিচালনাযোগ্য যুদ্ধবিমান রয়েছে।
এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জন কিরবি বিশদ বিবরণ ছাড়াই বলেন, ইউক্রেন অতিরিক্ত উড়োজাহাজ এবং বিমানের যন্ত্রাংশ পেয়েছে। তবে ওয়াশিংটন কিয়েভকে কোনো বিমান সরবরাহ করেনি বলে জানান তিনি।
তার ভাষায়— আমরা অবশ্য অতিরিক্ত যন্ত্রাংশ সহায়তা করেছি যা তাদের বিমান মেরামতে সহায়তা করবে। কিন্তু আমরা পুরো বিমান প্রদান করিনি।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে বিমান না দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারে বলেও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে রাশিয়ার তৈরি হেলিকপ্টার হস্তান্তর করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে যা এক সময় আফগানিস্তানে পাঠানোর উদ্দেশ্যে ছিল।
যুদ্ধের ৫০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনের বিমানের বহর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মিত্রদের সরবরাহ করা পোর্টেবল, কাঁধ থেকে চালিত সারফেস-টু-এয়ার মিসাইলসহ বিমান প্রতিরক্ষার কারণে রাশিয়ার সঙ্গে আকাশে আংশিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ধরে রেখেছে।
এর মাধ্যমে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে তারা কার্যকর স্থল অভিযান চালানোর সুযোগ পেয়েছে। রুশ বাহিনী যদি ইউক্রেনের আকাশে আধিপত্য পেত তাহলে তারা (রুশ বাহিনী) সহজভাবে ইউক্রেন সেনাদের আক্রমণ প্রতিহত করতে পারত।