নিউ ইয়র্ক সিটির একটি ডে-কেয়ার সেন্টারে গত শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক শিশুর মৃত্যু হয় এবং আরো তিন শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুরা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানানো হলে, জরুরি বিভাগের কর্মীরা দ্রুত তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। ঘটনাটি ঘটনার পরে ওই ডে-কেয়ার সেন্টারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। অবশেষে নিউইয়র্ক পুলিশ বিপুল পরিমান মাদক খুঁজে পেয়েছে ডে-কেয়ার সেন্টারটিতে।
পুলিশ জানিয়েছে, শিশুরা যে ঘরে ঘুমাত সেখানেই মাদুরের নিচে মাদক লুকানো ছিল।
এদিকে মেন্ডেজের একজন আইনজীবী বলেছেন, তার মক্কেল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার স্বামীর চাচাতো ভাই ব্রিটো নার্সারিতে যে মাদক রেখেছিলেন তা তিনি জানতেন না। কিন্তু কিছু ফুটেজ এবং ফোন রেকর্ড দেখে পুলিশ বলেছে, শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়লে মেন্ডেজ তার স্বামীকে বেশ কয়েকবার ফোন করেছিলেন। এর আগে তিনি ৯১১ নম্বরে যোগাযোগ করেন।
এরপর তার স্বামী এসে নার্সারি থেকে বেশ কয়েকটি শপিং ব্যাগ লুকিয়ে ফেলেন। প্রসিকিউটরদের মতে, মেন্ডেজ গ্রেপ্তারের আগে তার ফোন থেকে প্রায় ২০ হাজার বার্তা মুছে ফেলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে কর্তৃপক্ষ তা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তার স্বামীকে এখনও খুঁজছে পুলিশ। ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ক্যামেরায় ধরা পড়ে সে।
ফেন্টানাইল হেরোইনের চেয়ে ৫০ গুণ বেশি শক্তিশালী ব্যথানাশক ওষুধ। এর কারণে মার্কিন মাদক গ্রহনকারীদের মৃত্যুও বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১০ সালে দেশটিতে ৪০ হাজারের কাছাকাছি মানুষ মাদকের অতিরিক্ত মাত্রায় মারা গিয়েছিল এবং সেই মৃত্যুর ১০ শতাংশ এরও কম ফেন্টানাইলের সঙ্গে জড়িত ছিল। ২০২১ সাল নাগাদ ১লাখের বেশি মানুষ মাদকের অতিরিক্ত মাত্রায় মারা গিয়েছিল, যাদের মধ্যে আনুমানিক ৬৬ শতাংশ ফেন্টানাইলের সঙ্গে যুক্ত ছিল।