নাসিরুল্লাহ বলেন, ‘গুগল পে ব্যবহার করতাম। এখন সেখানে একশ কোটি টাকা (রুপি) আছে দেখাচ্ছে। ওই টাকা আমার নয়। আমি কিছুই জানি না। আমার বাড়ির লোক খুব কান্নাকাটি করছি। ভুল করে আমার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। আমি তো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না, কী করে এত টাকা এল। তখনই বুঝতে পারি এই কারণেই আমাকে পুলিশ নোটিস পাঠিয়েছে।
৩০ তারিখের মধ্যে আমাকে হাজিরা দিতে হবে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর থানায়। ওই কথা শুনে উকিলের কাছে গিয়েছিলাম। ওরাও কিছু বলতে পরেনি। আমি চাই, অবিলম্বে আমার অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা সরিয়ে নেওয়া হোক। যার টাকা সে নিয়ে নিক।’
নাসিরুল্লাহর দাদা মহম্মদ মোস্তাকান আহমেদ বলেন, ‘ভাইও অন্যের আমবাগানে কাজ করে। তার পক্ষে ৫০ হাজার রুপি জমানোর সামর্থ নেই। আমরা চাই, জঙ্গিপুরে না গিয়ে দেগঙ্গা থানার পুলিশই সমস্যার সমাধান করুক।’
গত বৃহস্পতিবার দেগঙ্গা থানা থেকে একটি নোটিস দেওয়া হয় নাসিরুল্লাহকে। নোটিস পাঠায় মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা। সেখানে বলা হয়েছে, মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানায় নাসিরুল্লার নামে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। নোটিসে আগামী ৩০ মে তাঁকে তার পরিচয়পত্র নিয়ে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর থানায় দেখা করতেও বলা হয়।
নোটিসের বিষয়বস্তু বুঝতে আতঙ্কিত নাসিরুল্লাহর প্রতিবেশী শিক্ষিত এক যুবকের দ্বারস্থ হন। তখনই তাঁর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে কোনো গরমিল হওয়ার কথা তিনি জানতে পারেন। দেখেন, তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে ১০০ কোটি রুপি! ওই টাকা রয়েছে তার গুগুল পে অ্যাকাউন্টে। মোবাইলে ব্যাংক ব্যালেন্স চেক করতে গিয়ে দেখেন ১০০ কোটি রুপির থেকে এক পয়সা কম রয়েছে তার অ্যাকাউন্টে।
এরপরেই নাওয়া খাওয়া ভুলে ব্যাংকে ছোটেন নাসিরুল্লাহ। ব্যাংকের ব্যবস্থাপক অ্যাকাউন্ট চেক করার পর জানান তাঁর অ্যাকাউন্টে রয়েছে মাত্র ১৭ রুপি। তবে গুগল পেতে তাঁর অ্যাকাউন্টে কেন ১০০ কোটির ব্যালেন্স দেখাচ্ছে জানতে চাইলে ব্যাংক ব্যবস্থাপক ফের তাঁর অ্যাকাউন্ট চেক করেন। দেখা যায়, তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি লক করে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু পুলিশ কেস হয়েছে তাই ব্যাংক ব্যবস্থাপক জানিয়ে দেন, তারা আর কিছুই করতে পারবেন না।
নাসিরুল্লাহ বলেন, ‘গুগল পে ব্যবহার করতাম। এখন সেখানে একশ কোটি টাকা (রুপি) আছে দেখাচ্ছে। ওই টাকা আমার নয়। আমি কিছুই জানি না। আমার বাড়ির লোক খুব কান্নাকাটি করছি। ভুল করে আমার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। আমি তো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না, কী করে এত টাকা এল। তখনই বুঝতে পারি এই কারণেই আমাকে পুলিশ নোটিস পাঠিয়েছে। ৩০ তারিখের মধ্যে আমাকে হাজিরা দিতে হবে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর থানায়। ওই কথা শুনে উকিলের কাছে গিয়েছিলাম। ওরাও কিছু বলতে পরেনি। আমি চাই, অবিলম্বে আমার অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা সরিয়ে নেওয়া হোক। যার টাকা সে নিয়ে নিক।’
নাসিরুল্লাহর দাদা মহম্মদ মোস্তাকান আহমেদ বলেন, ‘ভাইও অন্যের আমবাগানে কাজ করে। তার পক্ষে ৫০ হাজার রুপি জমানোর সামর্থ নেই। আমরা চাই, জঙ্গিপুরে না গিয়ে দেগঙ্গা থানার পুলিশই সমস্যার সমাধান করুক।’