মোবাইল ফোনে অত্যধিক আসক্তির পরিণতি কি হতে পারে তা আরো একবার সামনে এলো। একজন সোশ্যাল মিডিয়া তারকার দাবি মোবাইল ফোনে ১৪ ঘন্টা সময় কাটানোর জেরে তিনি এখন ডিজিটাল ভার্টিগোরশিকার। তাঁর জীবন এখন কাটছে হুইলচেয়ারে। NY পোস্ট অনুসারে বছর ২৯ -এর ফেনেলা ফক্স বলেছেন যে তিনি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তার ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকতেন। ইনস্টাগ্রামে আসক্তির জেরে তিনি ১ লক্ষ ৫৬ হাজারেরও বেশি ফলোয়ার সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু ২০২১ সালের শুরুর দিকে ফেনেলার হঠাৎ করে তীব্র মাথাব্যথা এবং ঘাড়ের ব্যথা শুরু হয়, যা ক্রমেই তীব্র থেকে তীব্রতর হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে শুরু হয় মাথা ঘোরা এবং বমি বমি ভাব।
ফক্স ‘মিররকে’ বলেছেন -” একদিন আমি অনুভব করতে শুরু করি যে আমি সত্যিই ঠিকভাবে হাঁটতে পারছি না। আমার মাথা ঘুরতো, মাথায় উদ্ভট কল্পনা আসতো। এই কষ্ট সহজে ব্যাখ্যা করার মতো নয়।”সেই সময়, সোশ্যাল মিডিয়া তারকা ফক্স পর্তুগালে বসবাস করছিলেন, যেখানে ডাক্তাররা তার সমস্যা দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তার লক্ষণগুলি আরও চরম আকার ধারণ করতে শুরু করলে, ফক্স তার বাবা-মায়ের কাছে যুক্তরাজ্যে চলে যান।
তিনি জানাচ্ছেন -” আমি আমার ফোনটি বন্ধ করে দিয়েছিলাম এবং আলমারির পিছনে ফেলে দিয়েছিলাম। আমি চেয়েছিলাম আবার হাঁটতে।” ডঃ গিলিয়ান আইজ্যাকস রাসেল বলেছেন যে- স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে অতিরিক্ত সময় কাটানোর জেরে এই ধরণের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। মোবাইল ফোনের মোশনের জেরে আমাদের দেহে “ভিজ্যুয়াল ভেস্টিবুলার কনফ্লিক্ট” তৈরী হয়।
মস্তিষ্ক এমন বার্তা পায় যে আপনি বুঝি সবসময় নড়াচড়া করছেন। এর থেকে দেখা দেয় মোশন সিকনেস।” দুর্ভাগ্যবশত ফক্সের মতো অনেকেই আছেন যাঁরা আয়ের জন্য তার সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্রিমগুলির উপর নির্ভর করেন।ইনস্টাগ্রাম ছাড়াও, ফক্স OnlyFans-এ একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, যেখানে তিনি প্রতি মাসে ১৫ হাজার ডলারেরও বেশি উপার্জন করেন বলে জানা গেছে। ফক্স দাবি করেছেন যে তিনি আর ঘন ঘন ফোনের দিকে তাকাতে পারবেন না, কারণ তার লক্ষণগুলি আবারো শরীরে দ্রুত ফিরে আসবে। চোখে একরাশ জল নিয়ে ফক্স বলেন – ”ফোনই এখন আমাদের জীবন, আমাদের পৃথিবী। আমরা যদি অর্থোপার্জন করতে চাই, ঘুম না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ফোন হাতে নিয়েই জেগে থাকতে হবে।”
সূত্র : couriermail.com.au