ভারতের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী রক্ষা খাড়কের মেয়ে মহারাষ্ট্রের শিবরাত্রি মেলায় শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় তিনি পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন এবং রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নিজেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতে যান। ক্ষমতাসীন বিজেপির এই নেত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “শিবরাত্রিতে মহারাষ্ট্রের কোথালিতে প্রতিবছর একটি মেলার আয়োজন করা হয়। আমার মেয়ে এই মেলায় গিয়ে কিছু বখাটের দ্বারা হেনস্তার শিকার হয়। আমি এখানে একজন মন্ত্রী বা এমপি হিসেবে নয়, বরং একজন মা হিসেবে বিচার চাইতে এসেছি।”
মুক্তিনগর পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট কুশান্ত পিংডে জানিয়েছেন, সাতজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, যাদের মধ্যে একজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অভিযুক্তরা শুধু মন্ত্রীর মেয়েকেই নয়, আরও কয়েকজন মেয়ের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেছিল। ঘটনাস্থলে থাকা বডিগার্ডরা আটকালে তারা মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় শ্লীলতাহানি, পকসো আইন ও আইসিটি আইনে মামলা হয়েছে। কারণ, অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীদের ভিডিও ধারণ করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিজেপি বর্তমানে মহারাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকলেও, এই ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কংগ্রেস সরব হয়েছে। বিরোধী দল বিজেপি সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরে কঠোর সমালোচনা করেছে।
রক্ষা খাড়কে বলেন, “যদি আমার নিজের মেয়েই নিরাপদ না থাকে, তাহলে সাধারণ নারীদের অবস্থা কী? আমি রাজ্য সরকারের কাছে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।”
তিনি আরও জানান, মহারাষ্ট্রে নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধের সংখ্যা ভয়ংকরভাবে বেড়েছে এবং বহু নারী মুখ খুলতে ভয় পান।
তিনি বলেন, “আমরা আর চুপ থাকতে পারি না। আমি এ নিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসব এবং কঠোর শাস্তির দাবি জানাব।” পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় কোনো রাজনৈতিক চাপ নেই এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।