চরম অর্থনৈতিক দৈন্যদশার মধ্যেও মিসরে রমজান মাস ঘিরে রয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। এরই মধ্যে কায়রোর পশ্চিমাঞ্চলের আল-মাতরিয়ায় এলাকায় অনুষ্ঠিত হলো সর্ববৃহৎ ইফতার আয়োজন। রমজান উপলক্ষে টানা নবম বছরের মতো আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হয়। নানা রঙের আলোকসজ্জা, বেলুনসহ রকমারির খাবারের মাধ্যমে সপ্তাহ ধরে এই প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
প্রতি বছর রমজানের মাসের ১৫তম দিন ইজবেত হামাদা এলাকায় বৃহত্তম এই ইফতারের আয়োজন করা হয়। এই আয়োজন ঘিরে সবার মধ্যে বিরাজ করে উৎসবমুখর আমেজ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর ছবিগুলো নজর কাড়ে সবার। এবারের ইফতার আয়োজনটি চারটি সড়কে বিস্তৃত হয়ে দীর্ঘ সারিতে রূপ নেয়। তাতে কয়েক হাজার রোজাদার অংশ নেন।
আয়োজকদের একজন আহমেদ খালাফ বলেন, ইফতার আয়োজনে আমরা বিভিন্নজনকে বিভিন্ন দায়িত্ব দিয়ে থাকি। সাধারণত তরুণরা ইফতার খাবার বিক্রির দায়িত্ব পালন করে। আর নারীরা বিভিন্ন প্রকারের খাবার তৈরি করে। ইফতারের দিন শিশুরা রাস্তা পরিষ্কার ও সাজসজ্জায় অংশ নেয়। স্থানীয়দের অনুদানেই পুরো ব্যয় নির্বাহ করা হয়। সব শ্রেণীর মানুষকে আনন্দ দেওয়াই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। অনুদানের ক্ষেত্রে অনেকে যেমন ৫০ মিসরীয় পাউন্ড (১.৬০ ডলার) দেয়, তেমনি কেউ কেউ পাঁচ হাজার পাউন্ডও দান করে।
এবারের ইফতার আয়োজনে অংশ নেন কায়রোতে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হংজিন উয়েক। তার স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ সবার আনন্দ ও উচ্ছ্বাসকে আরো বাড়িয়ে দেয়। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এখানে এত বেশি পরিমাণ লোকের সমাগম হয়েছে যা অকল্পনীয়। দীর্ঘ সারিতে ইফতার পরিবেশন করা হয়। এতে অংশ নেওয়া সবার মুখে ছিল আনন্দের ঝিলিক। মিসরীয়দের সঙ্গে ইফতার ও সাহরির স্বাদ ভাগাভাগি করতে এ বছর আমি একদিন রোজা পালন করেছি।