মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপ থেকে একের পর এক মৃতদেহ বের করে আনা হচ্ছে। সোমবার (৩১ মার্চ) জান্তা সরকারের বরাতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, মিয়ানমারজুড়ে মৃতের সংখ্যা ২,০২৮ জনে পৌঁছেছে। তবে রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে নতুন মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারেনি।
সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে মিয়ানমারে গণমাধ্যমের প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়েছে। তাই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনেক খবর পাওয়া সম্ভব নয়। জান্তাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং সতর্ক করেছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবারের ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর আজ সোমবার থেকে মিয়ানমারে এক সপ্তাহব্যাপী শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে, সোমবারও মিয়ানমারে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ব্যাংককে ধসে পড়া আকাশচুম্বী ভবনের ধ্বংসাবশেষে জীবনের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
২০২১ সালে জান্তা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে জর্জরিত দেশটি এক শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পের আঘাতে অনেকটা বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। যুদ্ধের কারণে গৃহহীন অনেক মানুষের কাছে উদ্ধার কিংবা ত্রাণ পৌঁছানোর প্রচেষ্টা আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনী এখনো বিভিন্ন গ্রামে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ত্রাণ প্রচেষ্টায় সহায়তা করার জন্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
অপরদিকে, থাইল্যান্ডের ব্যাংককে উদ্ধারকারীরা ভূমিকম্পে ধসে পড়া আকাশচুম্বী ভবনটি থেকে আরও এক মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। ফলে থাইল্যান্ডজুড়ে মৃতের সংখ্যা ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ধসে পড়া ভবনস্থলে এখনো ৭৫ জন নিখোঁজ রয়েছে। ঘটনাস্থলে স্ক্যানিং মেশিন এবং স্নিফার কুকুর মোতায়েন করা হয়েছে।