English

26 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

মিগজাউমে থমকে গেছে অন্ধ্র-তামিলনাডুর জনজীবন

- Advertisements -

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের জেরে লন্ডভন্ড গোটা চেন্নাই শহর। একটানা বৃষ্টিতে প্লাবিত তামিলনাডু ও পুদুচেরির বিস্তীর্ণ এলাকা। তবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তামিলনাডুর রাজধানী চেন্নাই। বৃষ্টি থেমে গেলেও, পানি জমে আছে চারদিকে। তৃতীয় দিনেও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন বহু এলাকা।

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম চেন্নাইয়ের পরে আঘাত হানে অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলে। তারপর তিন ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চলে। এরপর অবশ্য শক্তি হারায় ঘূর্ণিঝড়। তবে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের দাপটে থমকে গেছে তামিলনাডু ও অন্ধ্রপ্রদেশের জনজীবন।

তামিলনাডু সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিন দিন পেরিয়ে গেলেও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন বহু এলাকা। ঝড় এবং বৃষ্টির দাপটে অনেক জায়গাতেই বহু গাছ এবং বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে। সেই কারণে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যুতের তার পানির নিচেও ডুবে আছে। বিপদ এড়ানোর জন্য বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে বহু এলাকা। তবে পরিস্থিতি সামান্য নিয়ন্ত্রণে এলেই শিগগির বিদ্যুৎ ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হবে বলে জানা গেছে।

দুর্যোগ পরিস্থিতিতে চেন্নাই এবং সংলগ্ন জেলাগুলোতে সরকারি স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দেওয়ার জন্য বেসরকারি সংস্থাগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছে প্রশাসন।

চেন্নাইয়ের অধিকাংশ জায়গাতেই নিচু এলাকাগুলোতে পানি ঢুকছে। অনেকের বাড়ির মধ্যেও পানি ঢুকেছে। অনেক পরিবারকেই বাড়িছাড়া হতে হয়েছে। এমনকি, পার্কিং লটে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িও পানির তোড়ে ভেসে গেছে।

একজন ত্রাণশিবিরের কর্মী বলেন, আমার বাড়ি রাধাকৃষ্ণশলাইয়ে। একটানা বৃষ্টি হওয়ায় আমার এলাকাও পানিতে ভেসে গেছে। কারও কোনো ক্ষতি হয়নি তবে জলাবদ্ধ পরিস্থিতির কারণে এলাকার সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। এখানে তাদের খাবার, পানীয় জল এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে।

তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন উদ্ধারকাজের বিষয়ে তদারকি করছেন। তামিলনাড়ুর সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ত্রাণ তৎপরতা পুরোদমে চলছে। প্লাবিত এলাকায় মানুষদের উদ্ধার করতে মধ্যরাতে নৌকাও নামানো হয়েছিল। এই বিপর্যয়ের সময় তামিলনাড়ু পুলিশ একটি হেল্পলাইন নম্বরও ঘোষণা করেছে।

তামিলনাডুর মুখ্যসচিব শিবদাস মিনা জানান, শহরের অনেক এলাকায় পানি সরিয়ে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরেয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। বেশ কিছু রাস্তা পরিষ্কার করা হয়েছে এবং বহু পরিবারকে শুকনো খাবার, পাউরুটি ও দুধের প্যাকেটও দেওয়া হয়েছে। তবে কাজ এখনও অনেক বাকি আছে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন